অবস্থা খানিক ফিরলেই গাড়ি কিনে ফেলা আজকাল জলভাত। অথচ খোদ প্রধানমন্ত্রীরই নাকি নিজের কোনও গাড়ি নেই, জানেন? শুধু মোদিই নন, নিজের গাড়ি নেই আরও একাধিক হেভিওয়েট নেতার। কারা রয়েছেন সে তালিকায়? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
লক্ষ কোটি টাকার গাড়িতে চড়া তাঁদের হাতের মুঠোয়। একটি নয়, একাধিক গাড়ির কনভয় থাকে তাঁদের সঙ্গে। অথচ নিজের বলতে একটি গাড়িও নেই দেশের অনেক রাজনৈতিক নেতারই। এমনকি সে তালিকায় রয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম। রয়েছেন আরও কয়েকজন হেভিওয়েট নেতাও।
আরও শুনুন:
যে রাঁধে সে রাজনীতিও করে! ভোটের হাওয়ায় পলিটিক্সের হেঁশেলনামা
সাধারণত ক্ষমতাশালী দলগুলির নেতানেত্রীদের সম্পত্তি কম নয়। আর গাড়ির কথা তো বলাই বাহুল্য। পথে বেরোলেই তাঁদের সঙ্গে চলে একাধিক গাড়ির কনভয়। সুবিধা এবং নিরাপত্তা, দুই দিক বিচার করেই গাড়ি ব্যবহার করেন রাজনৈতিক নেতৃত্বরা। ফলে নামীদামি গাড়িতে চড়া তাঁদের কাছে জলভাত। লোকসভা ভোটে মনোনয়ন দেওয়ার সূত্রে তাঁদের সম্পত্তির হিসেবনিকেশ সামনে আসায় সেই খতিয়ান দেখা গিয়েছে বারবার। কিন্তু সেই মনোনয়নের সূত্রেই সামনে এসেছে এই তালিকাও। দেশের দুবারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যাঁর ব্র্যান্ড ভ্যালুতে ভর করে তৃতীয়বারও মসনদে ফেরার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি। অথচ দেখা যাচ্ছে, তাঁর নিজের একটি গাড়িও নেই। এমনকি নেই বাড়ি বা জমিও।
আবার মোদির ডান হাত, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ব্যক্তিগত মালিকানায় ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ থাকলেও, কোনও গাড়ি নেই এখনও পর্যন্ত। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। তাঁর কাছে রিভলভার রয়েছে, রয়েছে দোনলা বন্দুকও, কিন্তু নিজস্ব গাড়ি কোথায়! শুধু বিজেপি নেতারাই নন। একই হাল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীরও। গাড়ি চালানো তাঁর বাঁ হাতের খেল, এমনকি ট্রাক থেকে ট্রাক্টর সবকিছু চালাতেই দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু না আছে নিজের বাড়ি, না আছে নিজের গাড়ি। সে কারণে সাংসদ পদ খুইয়ে বাংলো ছাড়তে হওয়ায় খানিক মুশকিলেই পড়েছিলেন ওয়েনাড়ের সাংসদ।
আরও শুনুন:
মাছ, মাংস, মিষ্টি… স্বাদের আহ্লাদও আসর মাতাচ্ছে ভোট-রাজনীতির
উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, সপা-র সুপ্রিমো অখিলেশ, কিংবা তাঁর স্ত্রী ডিম্পল যাদব, নিজস্ব গাড়ি নেই তাঁদের কারোরই। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর, এআইএমআইএম সুপ্রিমো আসাদুদ্দিন ওয়াইসি, তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। এমনকি তৃণমূলের সেনাপতি বলেই যাঁকে মেনে নিয়েছে দল, সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও মনোনয়নের সময় জানিয়েছেন, নিজস্ব বাড়ি বা গাড়ি কোনোটিই নেই তাঁর।
আসলে, দল বা দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা নেতানেত্রীরা বেতন ছাড়াও আরও কিছু সুযোগ সুবিধা পেয়েই থাকেন। গাড়ি এবং বাড়ি দুই-ই সে সুবিধার মধ্যে পড়ে। কিন্তু মনোনয়নের সময় দাখিল করা নথিতে যেহেতু কেবল নিজস্ব মালিকানার কথাই জানাতে হয়, সে কারণেই গাড়ি না-থাকার তালিকায় পড়ে গিয়েছেন এই নেতৃত্বরা।