সোনার হরিণ নয়, স্ত্রীকে আস্ত একটা দ্বীপ উপহার দিয়েছেন ব্যক্তি। ঘটা করে সে কথা সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন স্ত্রী। তাতেই নেটিজেনদের চক্ষু চড়কগাছ। এত দামি উপহার কাউকে দেওয়ার কথা ভাবতেই পারেন না অনেকে। কে ঘটিয়েছেন এমন কাণ্ড? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
স্ত্রীকে উপহার দেবেন স্বামী। এতে আর অবাক হওয়ার কি আছে! যার যেমন সামর্থ্য সেইমতো হবে উপহার। তাই বলে, আস্ত একটা দ্বীপ! সম্প্রতি স্ত্রীকে এমনই উপহার দিয়েছেন স্বামী। সেকথা নেটদুনিয়ায় জানিয়েছেন মহিলা। তাতে নেটিজেনদের চক্ষু চড়কগাছ হলেও, বিশেষ অবাক হননি তিনি নিজে।
আরও শুনুন:
৩০০ মহিলার যৌনসঙ্গী প্রেমিক, নেটদুনিয়ায় বিস্ফোরক নালিশ প্রেমিকার
স্বামী বিরাট ধনী। দুবাইয়ে মস্ত ব্যবসা। টাকা পয়সার কমতি নেই। তাই স্ত্রী যা চাইবেন সেটাই পাবেন। এর আগেও দামি উপহারে মুড়িয়ে দিইয়েছেন স্ত্রীকে। সেসব খবর বড়াই করে সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন স্ত্রী। এমনকি তাঁর স্বামীর মতো দুনিয়ায় আর কেউ খরচ করতে পারেন না, এই দাবিও করেছেন। তা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। সোশাল মিডিয়ায় অনেকেই মহিলাকে কটাক্ষ করতেন। বিশেষ করে এইভাবে স্বামীর নামে অন্যদের কাছে বাড়িয়ে বলা, পছন্দ করতেন না অনেকেই। কেউ কেউ বলতেন, আসলে এসব কিছুই না। অর্থাৎ মহিলার স্বামী তেমন কিছুই করেন না। নাম কেনার জন্য এইসব বলেন মহিলা। এতদিন সমস্ত কটাক্ষ সহ্য করেছেন মহিলা। পালটা জবাব দিলে কটাক্ষ আরও তীব্র হত। তবে এবার হাতে কলমে স্বামীর ভালোবাসা নেটদুনিয়ায় জাহির করেছেন মহিলা। তাতে মুখ বন্ধ নেটিজেনদের। সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মহিলা জানিয়েছেন তাঁর স্বামী আস্ত একটা দ্বীপ কিনে দিয়েছেন। ব্যক্তিগত সেই দ্বীপে ইচ্ছামতো ঘুরতে পারবেন তিনি। কেউ বিরক্ত করতে আসবে না। কারণ সে দ্বীপ কোথায় সেটাই কেউ জানবে না। আর এই ধরনের দ্বীপে বিনা অনুমতিতে প্রবেশের অধিকারও মেলে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এত কিছু থাকতে হঠাৎ দ্বীপ কেন?
আরও শুনুন:
গান্ধীজিকেও বিশ্বাস করিয়েছিলেন তিনি জাতিস্মর! চেনেন এই মহিলাকে?
এককথায় বলতে গেলে স্ত্রীর স্বাধীনতার কথা ভেবেই এমন কাণ্ড করেছেন স্বামী। আসলে, মহিলার ইচ্ছা হয়েছিল বিকিনি পরে সমুদ্রের ধারে ঘুরতে যাবেন। এর মধ্যে কোনও অস্বাভাবিক কিছু নেই। সমস্যা একটা জায়গাতেই, সুন্দরী মহিলাকে বিকিনিতে দেখে অনেকেই ছবি তুলতে হাজির হবেন। কেউ কেউ উত্যক্তও করতে পারে। বারণ করলেই যে শোনা হবে, তারও মানে নেই। সুতরাং উপায় একটাই ফাঁকা বিচে ঘুরে বেড়ানো। এমনটা তো আর সম্ভব নয়। তাই আস্ত একটা দ্বীপ কিনে ফেলেছেন ওই ব্যক্তি। সেখানে যখন খুশি যেভাবে খুশি ঘুরে বেড়াতে পারবেন স্ত্রী। কেউ বিরক্ত করবে না, উত্যক্তও করবে না। স্বামীর এই উপহারকে সেরা বিনিয়োগ বলেই দাবি করেছেন মহিলা। হাজার হোক, একটা আস্ত দ্বীপ এখন তাঁদের সম্পত্তি। তবে এরপরও কটাক্ষ কমেনি। অনেকেই দাবি করেছেন, এইভাবে টাকা না খরচ করে গরীবদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া যেত। কেউ আবার যুদ্ধ বিদ্ধ্বস্ত পরিবারে সাহায্যের কথা বলেছেন। একইসঙ্গে মহিলার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। সোশাল মিডিয়ায় এর আগে নিজেদের সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে বিভিন্ন নিয়মের কথা জানিয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর কোনও পুরুষ বন্ধু থাকবে না, সবসময় স্বামীর অনুমতি নিয়ে বেরোতে হবে, কোথায় যাচ্ছেন সেই লোকেশন পাঠাতে হবে, একইসঙ্গে সমস্ত সোশাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড জানাতে হবে। এইসব শর্ত মেনেই সম্পর্কে রয়েছে মহিলা। তাতে উপহাস করেছেন অনেকেই। এর থেকে বন্দী জীবন ভালো, এই কটাক্ষ করেছেন অনেকে। তাদের দাবি, এইসব শর্ত মেনে দামি উপহার পাওয়ার কোনও মানে নেই। যদিও মহিলা এইসব দিকে তেমন মাথা ঘামাননি। স্বামীর দেওয়া নতুন উপহার উপভোগ করেই ব্যস্ত থাকতে চান বলে সাফ জানিয়েছেন দুবাইয়ের ওই মহিলা।