বিশেষ কিছু কাজ ছিল। তাই মহিলা কয়েকদিনের ছুটি চেয়েছিলেন অফিস থেকে। কিন্তু সেই দাবি মঞ্জুর করেনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ। প্রথমবার কাজ না হওয়ায় ফের আবেদন করেন মহিলা। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। তাই রাগের মাথায় অফিসেই আগুন লাগিয়ে দেন তিনি। কোথায় ঘটেছে এই কাণ্ড? আসুন শুনে নিই।
ক্যালেন্ডারে লাল দাগ ছাড়া কোনও অফিসেই ছুটি মেলে না। এমনকি সেক্ষেত্রেও যে সব সংস্থা একই নিয়ম মানবে তা নয়। তাই প্রয়োজন পড়লে ছুটির আবেদন করতে হয় কর্মীদের। তারপর তা মঞ্জুর করা কর্তৃপক্ষের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। এক্ষেত্রেও ঘটেছে ঠিক তেমনটাই। স্রেফ এক কর্মীর ছুটির আবেদন মঞ্জুর করেনি সংস্থা। আর তাতেই চটে গিয়ে, কর্মক্ষেত্রে আগুন লাগিয়ে দেন ওই কর্মী।
আরও শুনুন: ভারতকে টেক্কা! ২০০০ কোটির ঋণ, তবু ৪০ কোটির পতাকা ওড়াবে পাকিস্তান
ঘটনাটি মুম্বইয়ের। সেখানকার এক সুপারমার্কেটে কাজ করতেন মহিলা। এমনিতেই এই ধরনের কাজে ছুটি পাওয়ার আশঙ্কা কম। সাধারণ ছুটির দিনেও অনেকসময় সুপারমার্কেট খোলা থাকতে দেখা যায়। তাই নিজেদের প্রয়োজনে আলাদা করে ছুটির আবেদন করতে হয়। বছর ২৩-র এই মহিলাও তেমনটাই করেছিলেন। দিনকয়েক আগে তাঁর যাবতীয় ছুটির দাবি জানিয়ে উর্ধ্বতনের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু তখন সরাসরি মহিলার ছুটি নাকচ করে দেওয়া হয়। এদিকে মহিলার কয়েকদিনের জন্য অবশ্যই ছুটি দরকার ছিল। তাই প্রথমবার আবেদন নাকচ হওয়া সত্ত্বেও তিনি ফের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন। তবে এবারেও কোনও লাভের লাভ হয়নি। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে মহিলার ছুটির আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়। আর তাতেই বেজায় চটে যান তিনি। ঠিক করেন এর বদলা নিতেই হবে। তবে সেই বদলা যে এমন মারাত্মক হবে তা ভাবতেও পারেননি কেউই।
আরও শুনুন: শান্তি ফিরুক… প্রার্থনা করে অমরনাথ যাত্রা ইউক্রেনের মহিলার
কারণ বদলা নিতে ওই মহিলা সুপারমার্কেটের মধ্যেই আগুন লাগিয়ে দেন। এমনিতেই সেখানে দাহ্য জিনিসের ছড়াছড়ি। তার ওপর কাজের সুবাদে মহিলা কর্মস্থলের ইতিউতি ভালমত চেনেন। তাই কোথায় আগুন লাগালে ঘটনার ভয়ংকর অবস্থা হতে পারে তা জানতেন তিনি। বুদ্ধি করে জামাকাপড় আর খেলনা যেখানে থাকে সেই অংশে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। প্রথমে কিছু বুঝতে পারেননি সংস্থার অন্যান্য কর্মীরা। কিন্তু খানিকক্ষণ পরেই আগুনের ধোঁয়া দেখে রীতিমতো ঘাবড়ে যান সকলে। ততক্ষণে ওই মহিলা অবশ্য সেখান থেকে চম্পট দিয়েছেন। তাই প্রাথমিক ভাবে এই কাণ্ড কে ঘটিয়েছে তা নিয়ে বিশেষ ভাবেনি কেউ। স্বাভাবিক ভাবেই, সকলেই ব্যস্ত হয়ে পরেছিলেন আগুন নেভাতে। সকলের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। এরপরই কীভাবে আগুন লাগল, তার খোঁজ শুরু হয়। সিসিটিভি খতিয়ে দেখতে গিয়ে সামনে আসে আসল সত্যি। দেখা যায় ওই মহিলা নিজে হাতে আগুন লাগাচ্ছেন বিভিন্ন পোশাকে। তখনই পুলিশে খবর দেওয়া হয় সংস্থার তরফে। ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে এবং আরও একবার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মহিলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় এতটুকু অনুশোচনা নেই তাঁর। বরং ওই সুপারমার্কেটে কাজ করতে রীতিমতো সমস্যা হত বলেই জানিয়েছেন তিনি। তারওপর প্রয়োজন সত্ত্বেও ছুটি না দেওয়ায় আর রাগ সামলে রাখতে পারেননি। তাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলেই দাবি তাঁর।