কোনও পুরুষের সঙ্গে শারীরিক বা মানসিক সম্পর্ক নয়। একটি গাছের প্রেমে পড়েই দিব্যি সুখী মহিলা। আর এই প্রেমকে শরীরী প্রেম বলেই দাবি করছেন তিনি। নিজের সেই প্রেমকাহিনি এবার ফাঁস করলেন তিনি নিজেই। শুনে নেওয়া যাক।
সবুজ যৌনতা ভালোবাসেন তিনি, এমনটাই বলেন এই মহিলা। আর শুধু বলেনই না, কাজেও তেমনটাই করে দেখিয়েছেন তিনি। এক গাছের সঙ্গেই জড়িয়ে পড়েছেন শরীরী প্রেমে। আর সেই প্রেমেই নাকি চূড়ান্ত সুখ মিলেছে তাঁর, দাবি মহিলার।
আরও শুনুন: ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে সঙ্গীর মনে কি অন্য ভাবনা? গোপনাঙ্গের সাড়া দেওয়ার ধরনেই আছে ইশারা
কীভাবে এমন প্রেমের শুরু হল? আর সেই প্রেম চলছেই বা কীভাবে? নিজেই সে কথা খোলাখুলি জানিয়েছেন ওই মহিলা। সনিয়া সেম্যোনোভা নামের এই মহিলার বয়স বছর ৪৫। পেশায় তিনি একজন সেল্ফ ইন্টিমেসি কোচ। অর্থাৎ নিজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে শেখানোর পাঠ দেন তিনি। কানাডার ভ্যাঙ্কুভারের বাসিন্দা ওই মহিলা জানিয়েছেন, করোনা অতিমারির সময় নিয়মিত হাঁটতে বেরোতেন তিনি। শান্তি খুঁজতেন প্রকৃতির মধ্যেই। তখনই তাঁর আলাপ হয় এই ‘প্রেমিকের’ সঙ্গে। সে আর কেউ নয়, একটি বুড়ো ওক গাছ। তিনি জানিয়েছেন, যতবারই ওই গাছটির কাছে তিনি যেতেন, তাঁর সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছে হত। গাছটিকে ছুঁতে ইচ্ছে করত। তিনি সাফ বলেন, “তখন থেকেই আমাদের প্রেমের শুরু।’’ আর সেই প্রেম দিব্যি চলছে এখনও। প্রেমিকের মধ্যে যে গুণগুলি তিনি খুঁজতেন, কোনও সঙ্গীর মধ্যে তিনি তা খুঁজে পাননি বলেই দাবি ওই মহিলার। কিন্তু সেই ইচ্ছেই মিটেছে গাছ-প্রেমিকের কাছে এসে। কিন্তু গাছের সঙ্গে প্রেমে শরীর মিলবে কীভাবে? গাছ ও মানুষ, দুই প্রজাতির মধ্যে শারীরিক মিলন তো আর সম্ভব নয়! তবে কি এ ভালোলাগা নেহাতই প্লেটোনিক? সে কথা কিন্তু মানতে নারাজ এই মহিলা। সত্যি বলতে তিনি একা নন, তাঁর ভাবনায় বিশ্বাস করেন এমন মানুষও রয়েছেন। প্রকৃতির মধ্যেই প্রেম খুঁজে নেওয়া এই ধরনের মানুষকে বলা হয় ইকোসেক্সুয়াল। অর্থাৎ কিনা, সবুজ যৌনতা ভালোবাসেন তাঁরা। তবে সনিয়া বলছেন যে, অনেকে মনে করেন সবুজ যৌনতা বা ইকোসেক্সুয়ালিটির অর্থ প্রকৃতি এবং মানুষের মধ্যে যৌনতা। ব্যাপারটা মোটেই তা নয়। এই প্রেমের সঙ্গে আক্ষরিক অর্থে যৌনতার কোনও সম্পর্ক নেই। তবে গাছ-প্রেমিকের প্রতি তাঁর যে অদম্য টান, তার জেরে এই প্রেমকে শরীরী প্রেম বলতে কোনও দ্বিধা নেই তাঁর। আর সেই প্রেম নিয়ে তিনি সুখেই আছেন বলে জানিয়েছেন সনিয়া সেম্যোনোভা।