তিনি ভবিষ্যৎদ্রষ্টা। অনায়াসে নির্ভুল ব্যাখ্যা করেন সুদূর ভবিষ্যতের ঘটনা। তাঁর এই অত্যাশ্চর্য ক্ষমতা অবাক করে সকলেই। সম্প্রতি তাঁর দাবি ভিনগ্রহের বাসিন্দাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। তাঁদের সাহায্যেই অদ্ভুত এক পদ্ধতিতে ভবিষ্যৎ গণনা করেন তিনি। কার কথা বলছি? আসুন শুনে নিই।
ভিনগ্রহীদের নিয়ে আমাদের কৌতূহল নেহাতই কম নয়। তাই ভিনগ্রহীদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন দাবি কেউ করলে, তাঁকে নিয়ে তো আলোচনা হবেই। সম্প্রতি এই দাবি করেই আলোচনায় উঠে এসেছেন এক জ্যোতিষী। তবে সাধারণ কোনও জ্যোতিষী নয়। একেবারে নির্ভুলভাবে ভবিষ্যতে কী ঘটতে চলছে, বলে দিতে পারেন এই জ্যোতিষী।
আরও শুনুন: বিভেদ ঘোচাল রথের রশি! রথযাত্রায় সানন্দে অংশ নিলেন মুসলিমরাও
কথা বলছি, অতলান্তা কাশ্যপ সম্পর্কে। ভবিষ্যৎ দেখার অদ্ভুত ক্ষমতার জোরে যথেষ্ট জনপ্রিয় এই মহিলা। তার একাধিক উদাহরণও রয়েছে। বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনের ঘটনা থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, কত কিছুই না নির্ভুল্ভাবে গনণা করেছেন তিনি। সবথেকে আশ্চর্যের কথা, তাঁর গণনা আজ অবধি এতটুকু ভুল প্রমাণ করতে পারেনি কেউ। সম্প্রতি কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের কথা বহু আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন অতলান্তা। শুধু তাই নয়। ডি কে শিবকুমার যে কর্ণাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হবেন সে কথাও আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন অতলান্তা। এ ছাড়া অসম নির্বাচন, খেলার ফলাফল, রাজনীতিবিদের আগামী পদক্ষেপ সব কিছুই অগ্রিম জানিয়ে দেন এই মহিলা।
কিন্তু এই অলৌকিক কাজ তিনি করেন কীভাবে?
আরও শুনুন: ধসে গিয়েছিল গ্রামের একমাত্র স্কুল, নতুন করে তৈরি করতে ১১ কাঠা জমি দান কৃষকের
নেপথ্যে অবশ্যই তাঁর দীর্ঘদিনের জ্যোতিষ সাধনা। ৬৪ রকমের জ্যোতিষকলায় পারদর্শী অতলান্তা। তবে স্রেফ সাধনা নয়। নির্ভুল ভাবে ভবিষ্যৎ ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে আরও একটি কারণের কথা তিনি বলেন। তাঁর দাবি, ঘুমানোর আগে যাবতীয় প্রশ্ন চিন্তা করতে করতে তিনি ঘুমোতে যান। সব কিছুর উত্তরই খুঁজে পান স্বপ্নের মধ্যে। সেখানে ভিনগ্রহী প্রাণীদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হয় তাঁর। এমনটাই দাবি অতলান্তার। তবে তাঁর জন্মছকেও নাকি বিশেষ কিছু লক্ষণ রয়েছে। যার দরুণ, সাধারণের থেকে অনেকটাই আলাদা তিনি। ছোট থেকেই তাঁর মধ্যে সেই অলৌকিক প্রভাব চোখে পড়ত। আগামী দিনে অলৌকিক ক্ষমতার জোরে গোটা দেশের নাম উজ্জ্বল করতে চান তিনি। বলা বাহুল্য, যার অনেকটা তিনি ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই কাজ করে আসছেন অতলান্তা। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ তাঁর কাছে ছুটে আসে। সকলের ভবিষ্যতই নির্ভুল্ভাবে ব্যাখ্যা করেন তিনি। এমনটাও শোনা যায়, ১০০ শতাংশ নয় ৩০০ শতাংশ নির্ভুল গণনা করতে পারেন অতলান্তা। আর এই সবকিছুর জন্যই নিজেকে প্রকৃতি মায়ের সন্তান হিসেবে মনে করেন অতলান্তা। স্বয়ং প্রকৃতি তাঁকে রক্ষা করেন, এবং তাঁর যাবতীয় কর্মকাণ্ড সফল করতে সাহায্য করেন। এমনটাই দাবি এই সিদ্ধ জ্যোতিষীর।