দেশের সবথেকে বড় পর্নস্টার, তাহলে কর দিতে হবে কেন! কে তুললেন দাবি?

ক্যামেরার সামনে, সর্বসমক্ষে যৌনতায় লিপ্ত হতে কোনওরকম সংকোচ নেই এই তরুণীর। কারণ পর্ন সিনেমায় অভিনয় করাকেই যে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। আর সেই ব্যাপারে তিনি এতটাই সাবলীল যে তাঁকে পর্দায় দেখতে রীতিমতো পছন্দ করেন অনেকেই। তাঁর শরীরী আবেদন যে কোনও দর্শকের নজর কাড়তে বাধ্য। আর পুরুষ সঙ্গীদের নিয়ে তিনি যেভাবে শরীরী খেলায় মেতে ওঠেন, সেই দৃশ্য আরও উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয় তাঁদের। আর এইসব ভালো লাগা কেবল মুখের কথা নয়, সত্যিই অস্ট্রেলিয়ার সেরা পর্ন তারকা বলেই পরিচিত এই অভিনেত্রী। আর সেই তকমাকে হাতিয়ার করেই এবার নেটিজেনদের একাংশকে একহাত নিলেন অভিনেত্রী বিলি বিভার। তাঁর সাফ প্রশ্ন, এই যে নিজের শরীরকে ব্যবহার করে এত পরিশ্রম করেন তিনি, এরপর কি আর তাঁর দেশকে ট্যাক্স দেওয়ার কোনও প্রয়োজন আছে?

আরও শুনুন: সাহসী ছবিতেই বাজিমাত! কোটি টাকার ধার শোধ করে কোটিপতি হলেন নার্স

কিন্তু হঠাৎ কেন এমন কথা বললেন ওই পর্ন তারকা? সেই কারণটিও ফাঁস করেছেন তিনি নিজেই। না, তাঁর কর ফাঁকি দেওয়ার ইচ্ছে আছে এমনটা নয় মোটেই। বরং পর্ন দুনিয়া থেকে তিনি যে উপার্জন করেন, তার থেকে সরকারকে প্রাপ্য কর দিতে তিনি পিছপা হন না বলেই দাবি ওই তরুণীর। কিন্তু সমস্যা হল, তাঁর এই পেশাকে কাজ বলে স্বীকৃতি দিতেই নারাজ নেটদুনিয়ার একাংশ। বিশ্ব জুড়ে পর্ন ফিল্মের দর্শক যতই রমরমিয়ে বাড়ুক না কেন, ক্যামেরার সামনে যৌনতায় লিপ্ত হওয়াকে কোনও প্রকৃত কাজ বলে তাঁরা মানতে চান না। বরং তাঁদের মতে, এ যেন স্রেফ ফাঁকি দিয়ে উপার্জন করা। আর তাতেই বেজায় চটেছেন এই তারকা। তাঁর কাজটি যদি কাজের আওতায় নাই আসে, তাহলে তাঁকে ট্যাক্স দিতে হয় কেন, প্রশ্ন জুড়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এই তরুণীর আরও বক্তব্য, যাঁরা তাঁকে ‘ঠিকঠাক’ কাজ খোঁজার পরামর্শ দেন, তাঁদের থেকে ১০ গুণ বেশি কর দেন পর্ন তারকারাই।

আরও শুনুন: ঘন ঘন অর্গাজম উপভোগ করেন পর্ন নায়িকারা, বাস্তবেও কি এমনটা সম্ভব?

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় লাখ দুয়েক ফলোয়ার রয়েছে এই পর্ন অভিনেত্রীর। তাঁর খোলামেলা ছবি বা ভিডিও নিয়ে সেই অনুরাগীদের উত্তেজনার শেষ নেই। সুতরাং তাঁর কাজ নিয়ে যে যাই বলুক না কেন, তা নিয়ে তিনি যে আদৌ মাথা ঘামাতে রাজি নন, সে কথাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন এই পর্ন তারকা।