হিজাব পরা ছবিতেই যৌনতার ইশারা, বাড়ছিল অনুগামী, হঠাৎ বড় বিপত্তিতে মডেল

নেট মাধ্যমে অনেক অভিনেত্রী বা মডেল লাস্যময়ী ছবি পোস্ট করেন। এভাবে মোটা টাকা রোজগারও হয়। বেশিরভাগ ছবিতেই তাঁদের নগ্নতা উদ্ভাসিত হয়। তেমনই এক পাকিস্তানি মডেল নেটদুনিয়ায় লাস্যময়ী ছবি প্রকাশ করে রোজগার করতেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে তাঁর এক বিশেষত্ব ছিল। নগ্ন হয়ে ছবি দিলেও তিনি সবসময় হিজাব পরে থাকতেন। স্রেফ এই বিশেষত্বের জেরেই তিনি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর সমস্ত হিজাব পরা ছবি নেটদুনিয়া থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যা দেখার পর বেজায় চটেছেন তিনি।

আরও শুনুন: ক্লাসেই পড়ুয়াদের সঙ্গে ‘চটুল’ নাচে মাতোয়ারা শিক্ষিকা, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বিতর্ক

কথা বলছি আলিয়া ইয়াসিন সম্পর্কে। জন্মসূত্রে পাকিস্তানি হলেও তিনি এখন ব্রিটেনের বাসিন্দা। পেশা বলতে মডেলিং। একইসঙ্গে বিভিন্ন অ্যাডাল্ট সাইটে লাস্যময়ী ছবি পোস্ট করেন তিনি। সেখান থেকেই মূলত মোটা টাকা আয় হয় তাঁর। এমনিতেই নেটদুনিয়ায় বিনোদনের অভাব নেই। সুন্দরী মহিলার লাস্যময়ী ছবি থেকে আরম্ভ করে পর্ন ভিডিও। প্রাপ্তবয়স্কদের মনোরঞ্জনের একাধিক ব্যবস্থা সবসময় মজুত রয়েছে সেখানে। তবে আলিয়া কোনও পর্ন অভিনেত্রী নন। যৌন মিলনের কোনও ভিডিও-র মাধ্যমেও দর্শকদের মনোরঞ্জন তিনি করতে চান না। তাঁর কাজ বিভিন্ন ভঙ্গিতে লাস্যময়ী ছবি দেওয়া। সেইসব যৌন আবেদনময় ছবির জন্যই অপেক্ষা করা থাকে তাঁর অসংখ্য অনুরাগী। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর সমস্ত ছবি নেটদুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা ভালো, যেসব ছবিতে তিনি হিজাব পরে আছেন সেগুলিই মূলত সরানো হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে এমনটা করা হয়েছে তা জানানো হয়নি। তাই এই ঘটনার কথা একটি টুইটের মাধ্যমে সবাইকে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর সাফ দাবি, হিজাব পরে ছবি দেওয়ায় কোনও ভুল নেই। এতদিন তাঁর সেইসব ছবি দেখতেই দর্শকরা অভ্যস্ত। এমনকি বেশ কিছু ছবির জন্য রীতিমতো ভালো টাকা রোজগার হয়েছে তাঁর। এবার সেইসব ছবি যদি নেটমাধ্যমে না থাকে, তাহলে যথেষ্ট সমস্যায় পড়বেন তিনি। সংস্থার কর্ণধারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, এভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে তাঁকে। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের প্রসঙ্গও টেনেছেন তিনি। অবিলম্বে তাঁর সমস্ত ছবি ফিরিয়ে দেওয়া হোক, আপাতত সেই দাবিই সকলের সামনে রেখেছেন আলিয়া।

আরও শুনুন: শাড়ি পরেই ব্যাডমিন্টন কোর্টে, র‍্যাকেট হাতে খেল দেখালেন এনসিপি নেত্রী

প্রাপ্তবয়স্কদের মনোরঞ্জনী এই সাইটের তরফেও তাঁকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, কোনও টেকনিক্যাল সমস্যার জেরেই এমনটা হয়েছে। সেই সমস্যা অবশ্যই ঠিক করে দেওয়া হবে। কিন্তু সংস্থার নিয়ম মেনে যদি কোনও ছবি সরানো হয়, তাহলে তার দায় আলিয়াকেই নিতে হবে। ছবি প্রকাশ করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সেইসব নিয়ম না মানলে ছবি সরিয়ে নেওয়াই স্বাভাবিক। যদিও আলিয়া সে প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এতদিন ধরে তাঁর ছবিতে কোনও সমস্যা হয়নি। তাই হঠাৎ ছবিগুলো সরিয়ে নেওয়া একেবারেই উচিৎ হয়নি। আপাতত কতদিনের মধ্যে পুরনো সব ছবি আলিয়া ফিরে পান, সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন তিনি ও তার অনুরাগীরা।