নীলগিরি পর্বতের সেই বিখ্যাত নীলকুরিঞ্জি ফুলের কথা তো অনেকেই শুনেছেন। বারো বছর অন্তর ফোটে এই ফুল। যার শোভা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে যান পর্যটকেরা। শুধু নীলকুরিঞ্জিই নয়, আরও এমন নানা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঠাসা কেরল। বিশ্বাস না হয়, নিজের চোখেই দেখে আসুন কেরলের কোঝিকোড় জেলার গোলাপি নদীর নয়নাভিরাম সৌন্দর্য। গোলাপি নদী শুনে অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই খুব। আসুন শুনে নেওয়া যাক রঙিন নদীর আসল রহস্য।
রবি ঠাকুরের কবিতার সেই ‘ছোটনদী’টির একপাশ ফুলে ফুলে সাদা হয়ে থাকত। তবে গোটা নদীর রং যে এমন তীব্র গোলাপি হতে পারে, তা না দেখলে বিশ্বাসই হবে না। তবে তেমনটাই ঘটেছে কেরলের কোঝিকোড়ে।
দূর থেকে দেখলে মনে হবে, কেউ যেন নদীর জলে ঢেলে দিয়েছে গ্যালন গ্যালন রং। তবে কাছে গেলেই চক্ষুকর্ণের বিবাদ মিটবে। এ রং তো শুধু রং নয়। একরাশ গোলাপি ফুলের মেলায় ভরে রয়েছে নদীর বুক।
আরও শুনুন: পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম বসতি! গোটা দ্বীপে থাকে একটিই মাত্র পরিবার
যা দেখতে আপাতত কোঝিকোড়ে ভিড় জমাচ্ছেন অসংখ্য পর্যটক। কেবল সাদামাটা পর্যটকেরাই নন, সেই আশ্চর্য নদীর রূপ দেখে মুগ্ধ শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রাও। সম্প্রতি সে নদীর প্রশংসায় তিনি পঞ্চমুখ হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
সেই গোলাপি নদীর ছবি তিনি পোস্ট করে জানিয়েছেন, এই ছবি জীবনকে আশায় ভরিয়ে দিয়েছে। কেন এই নদী থেকে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে যাচ্ছেন পর্যটকেরা, তা তাঁর কাছে জলের মতো পরিষ্কার। এতই পছন্দ হয়েছে তাঁর সেই নদীটি, যে সেটির ছবি দিয়ে ইতিমধ্যেই ওয়ালপেপারও বানিয়ে ফেলেছেন আনন্দ। সেই ছবির তিনি নাম রেখেছেন ‘রিভার অব হোপ’, অর্থাৎ আশার নদী।
আরও শুনুন: পাঁচ হাজার শীত-বসন্ত দেখেছে এ গাছ! খোঁজ মিলল পৃথিবীর প্রাচীনতম বৃক্ষের
এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক বার এ নদীর ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে প্রতিবারই সে নদীকে দেখে একই রকম মুগ্ধ হয়েছেন মানুষ। আসলে একটি জলজ উদ্ভিদের ফুলই এ সময়টায় ফোটে নদীর বুক জুড়ে। যা দেখলে মনে হয়, দিগন্তের পর দিগন্ত জুড়ে বয়ে চলেছে অপূর্ব এক গোলাপি নদী। তখন তাকে এ পৃথিবীর ভাবতেও বুঝি বা বিস্ময় হয়। এতদিন এ নদীর রূপ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন অসংখ্য নেটিজেনরা। আর এ বার সেই নদীর সৌন্দর্যেই বিস্মিত হলেন ভারতের অন্যতম শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রা।