একে শীতের দিন। তাতে আবার অসময়ে নেমেছে বৃষ্টি। যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তাদের জন্য এ বড় সুখের সময় নয়। ঠান্ডা একবার লেগে গেলে তো আর কিছুর নেই। কিন্তু যাতে না লাগে, তার জন্য অনেক কিছুই করা যেতে পারে। বেশ কিছু অভ্যাস নিয়মিত অনুশীলন করলে, ঠান্ডা লাগার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। কী সেগুলো? শুনে, শুনে নেওয়া যাক।
একবার ঠান্ডা লাগলে যে কীরকম যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় – সে অভিজ্ঞতা কমবেশি আমাদের সবারই আছে। তাই ঠান্ডা যাতে না লাগে, সে বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত। তবে, কীভাবে সতর্ক থাকবেন, সেইটাই হল আসল কথা।
আরও শুনুন: থাবা বসাচ্ছে ওমিক্রন, টিকা নেওয়া থাকলে কি কমবে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি?
কোভিডের কারণে একটা জিনিস আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, তা হল নিয়মিত হাত ধোয়া। হাত পরিষ্কার থাকলে কিন্তু ঠান্ডা লাগার প্রবণতা অনেকখানিই কনে। কেননা জ্বর-সর্দি বাধায় যে জীবাণু তা অন্য মানুষের থেকেও ছড়ায়। অফিসে বা বাড়িতে, যে সব জায়গায় আমরা প্রায়শই হাত দিই সেখান থেকেই ছড়াতে পারে জীবাণু। হাত থেকেই তা ঢুকে পড়তে পারে শরীরে। তাহলেই চিত্তির! তাই আগেভাগেই একে আটকানো উচিত। নিয়মিত হাত ধুলে বা হাত পরিষ্কার রাখলে এইভাবে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে।
আরও শুনুন: চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রন, প্রতিরোধে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করবেন?
আর একটা ব্যাপার খেয়াল করবেন, যে, শীতের দিনে আমরা অনেক সময়ই জল কম পান করি। তেষ্টাও সেভাবে থাকে না, তাতেই এই বিপত্তি। শরীরের মারাত্মক ক্ষতিটা হয়। পরিমিত মাত্রায় জল না পান করলে, শরীরে টক্সিন জমে যেতে পারে। তাতে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই তেষ্টা কম পেলেও, নিয়মিত অন্তর জল খান। শীত যদি যন্ত্রণার কারণ হয়, তাহলে বরং স্যুপ ট্রাই করতে পারেন। কিন্তু কোনোভাবেই যাতে শরীরে জলের ঘাটতি না হয়, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখুন।
পাশাপাশি, সুস্থ থাকার জন্য কী খাচ্ছেন- তাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। হাবিজাবি খাবার খেয়ে নয় পেট ভরালেন, কিন্তু তাতে শরীর মহাশয়ের উপকার হবে কি? এই দিকটা মাথায় রাখতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন উপাদানের ঘাটতি পূরণ হয়। তাতে সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বাড়ে। খেয়াল রাখবেন, যাতে জিঙ্ক এবং ভিটামন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীরে যায়। কেননা এই দুটি জিনিসই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে যে সময়টা অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি, সেই সময়ে খাদ্যতালিকায় এ দুটির উপস্থিতি কিন্তু মাস্ট। সবজি, শাক এগুলো একটু বেশি করে খান। ঠান্ডা লাগার হাত থেকে রেহাই পাবেন।
বাকি অংশ শুনে নিন।