গরমকাল মানেই আমের মরশুম। আর সেই গরমকালেই জামাইষষ্ঠী। অতএব জামাইয়ের সামনে আমের থালা সাজিয়ে দেওয়া। লোভে পড়ে হয়তো দুটো বেশিই খেয়ে ফেললেন, কিন্তু তারপর যদি শরীর বিগড়োয়? তাই আগেভাগেই সাবধান হওয়া ভাল। জানালেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুমিত সুর, শুনলেন চৈতালী বক্সী।
জামাইষষ্ঠীতে, জামাইয়ের খাতির যত্ন, আদর আপ্যায়্যন করতে কোনো কমতি রাখেন না শ্বশুর শাশুড়িরা। কিন্তু জামাই বাবাজির যদি একদিনে অত আদরের আতিশয্য সহ্য না হয়? এই গরমেও অতিরিক্ত ফলাহার যে একেবারেই উচিত নয়, তা বলে থাকেন বিশেষজ্ঞেরা। কিন্তু ফলের রাজাকে কি না করা যায়! কিন্তু শরীরে যদি সহ্য না হয়?
আরও শুনুন: জামাইয়ের পাতে তুলে দেবেন স্বাদু আম! বাজারের আম মিষ্টি কি-না বুঝবেন কী উপায়ে?
অনেকের শরীরেই বেশি ফল সহ্য হয় না। শরীর খারাপের সাথে সাথে হতে পারে ত্বকের নানা সমস্যাও। আতিথেয়তার মান রেখে নাহয় অতিরিক্ত ফলাহার করতেও হয়, সেক্ষেত্রে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করা যেতে পারে? বিশিষ্ট আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক, ডঃ সুমিত সুর বলছেন, খুব সকালে, খালি পেটে আর সূর্যাস্তের পর, কোনও ফল একেবারেই খাওয়া উচিত না। দুধ বা দইয়ের সঙ্গেও কোনও ফল খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রশ্ন হল – আমরা যে হামেশাই গরমকালে হাপুস হুপুস শব্দে, আম-দুধ মেখে খাই, তার বেলা? ডঃ সুমিত সুর বলছেন, সেটা খাওয়া উচিত নয়। এই আহার শরীরের পক্ষে খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়। দুপুরে খাওয়ার পর ভরা পেটে আম খাওয়া যেতেই পারে। তবে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া উচিত নয়। আর যদি কাঁচা দুধ ব্যবহার করেন সেটা খাবারকে আরও বিষাক্ত করে দেয়। তার ক্ষতিকারক প্রভাব অনেক বেশি। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী এটা বিরুদ্ধ আহারের মধ্যে পড়ে। এটি খেলে শরীরে অ্যাসিড এবং গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। পরপর ক’দিন ধরে আম খেয়ে গেলে, তা থেকে ত্বকের নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে। শরীরের কিছু জায়গায় ত্বকের উপরে দাগ দেখা দেয় বা চুলকানিও হতে পারে। এটা শরীরে ‘আম দোষ’-এরর ফলে হয়। শরীর যা সহ্য করতে পারে না সেসব খেলে এটা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে মুগ ডালের জল, গরম জল ইত্যাদি খেতে বলা হয় রোগীকে। এ ছাড়া পথ্য তো রয়েইছে।
আরও শুনুন: গরমে ডাবের জলে গলা ভেজাচ্ছেন! মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে না তো?
কিন্তু তাহলে কি ফল খাওয়া মানা? উঁহু, মোটেই নয়। যদি কোনও ফলে অ্যালার্জি না থাকে, তাহলে ফল খান আনন্দেই। কেবল তার আগে মনে রাখুন এই সতর্কতাগুলিও।