৯০-এর দশকের শিল্পা শেঠি, প্রীতি জিন্টাই হোন বা এই একবিংশের অনুষ্কা শর্মা কিংবা আলিয়া ভাট। এককথায় বিউটি উইথ প্যাশন। তবে সেই প্যাশন শুধু অভিনয়ের জন্য নয়। এরা সেই দলে পড়েন যারা একদিকে ক্যামেরার সামনে বিভিন্ন চরিত্র নিয়ে ডিল করেন, আবার নিজস্ব ব্যবসায়ও ডিল করেন। অভিনয়ের বাইরেও নিজেদের প্যাশনকে একইরকম দক্ষতায় সামলাচ্ছেন কোন কোন নায়িকা? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
রিল লাইফে পরিচালকের নির্দেশ মেনে চলেন এঁরা। আর রিয়্যাল লাইফে? এক-একটি সফল ব্যবসার পরিচালক হয়ে উঠেছেন তাঁরাই। কেবল গ্ল্যামার দুনিয়াই নয়, তার বাইরেও পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছেন এই নায়িকারা।
আরও শুনুন: ধনে-মানে এসেছে সমৃদ্ধি, কোন দেবতার আরাধনা করে সাফল্য লাভ বলি তারকাদের?
প্রথমেই বলি আমাদের গঙ্গুবাঈয়ের কথা। লিস্টের সবচেয়ে জুনিয়ার ব্যবসায়ী। গত বছরের জুনেই আলিয়ার ইনস্টা অ্যাকাউন্টে দেখা গিয়েছিল কিছু শিশুর ছবি। যাদের পরনের ফ্যাশনেবল পোশাকগুলি তৈরি করেছে আলিয়ার নিজস্ব ব্র্যান্ড। আর এই ফোটোশ্যুটের মাধ্যমেই নিজের ব্র্যান্ড লঞ্চ সেরে ফেলেছেন বলিউডের বর্তমানের প্রথম শ্রেণির এই নায়িকা। একই দলে আছেন সোহা আলি খানও। দু-চারটে সিনেমাতেই নিজের অভিনয়ের দৌড় বুঝে গিয়ে সোহা বেবি চুপচাপ ইতি টেনেছেন অভিনয়ে। বদলে পতৌদি পরিবারের মুখ রেখেছেন নবাবি ধাঁচের পোশাকের ব্র্যান্ড খুলে। যে ব্র্যান্ডের মডেল তিনি নিজে তো বটেই, ভাই সেফ আলি খানও।
আরও শুনুন: পিতৃদত্ত নাম বদলেই বাজিমাত, চেনা তারকাদের আসল নাম তাহলে কী?
পর্দায় তেমন ক্যারিশ্মা দেখাতে না পেরে বুদ্ধি করে পর্দার বাইরে, ব্যবসা করে নিজের দাম বাড়িয়ে নিয়েছেন টুইঙ্কল খান্নাও। তাঁর কলমের জোর তাকে নামডাক এনে দিলেও, ২০১৬ থেকে তিনি একটা ডিজিটাল মিডিয়া হাউসও চালাচ্ছেন। আবার ২০১৯ সালের জাতীয় পুরস্কারজয়ী প্যাডম্যান সিনেমাটি প্রযোজনা করে টুইঙ্কলের নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা।
আরও শুনুন: কেউ ভয় পান টোমাটোতে তো কেউ সিলিং ফ্যানে, তারকাদের অবাক করা ফোবিয়া
শুধু অভিনয় নয়। প্রযোজনা সংস্থার মাধ্যমে মুনাফা কামাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, অনুষ্কা শর্মা, দীপিকা পাডুকোন-রাও। তবে তার সঙ্গে দীপিকা আর অনুষ্কার আবার পোশাকের ব্যবসাও আছে। প্রিয়াঙ্কার আছে হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টের কোম্পানি। ২০১৯-এই বিউটি প্রোডাক্ট কোম্পানি লঞ্চ করেছেন ক্যাটরিনা কাইফ। এসবই প্রমাণ করে যে এই নায়িকারা প্রত্যেকেই বিউটি উইথ ব্রেন। তবে ব্যবসা করতে শুধু বিউটি আর ব্রেনের মেলবন্ধন নয়, সঙ্গে প্যাশনও লাগে। যে কোনো কাজের ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্যাশন যে জরুরি সেটা আমরা সকলেই জানি। তাই বোধহয় খেলা ও শারীরিক ফিটনেসের প্রতি নিজেদের প্যাশনকে কাজে লাগিয়ে শিল্পা শেট্টি, প্রীতি জিন্টার মত তারকারা আইপিএল অকশানে টিম কিনে ফেলেছিলেন।
সবশেষে বলব, ব্যবসা বা উদ্যোগের কিছু সামাজিক দায়বদ্ধতাও থাকে। ব্যবসা তো মুনাফার জন্যই, কিন্তু সেই উদ্যোগ বা ব্যবসা সমাজের ক্ষেত্রে কতখানি কাজে লাগছে? এই প্রশ্নের জবাবে এগিয়ে রাখা যেতে পারে দীপিকা পাড়ুকোনকে। প্রকাশ পাড়ুকোনের বড় মেয়ে শারীরিক ফিটনেসের সাথে সাথে গুরুত্ব দেন মানসিক জোরের প্রতিও। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে, মানসিকভাবে বিধ্বস্তদের স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে ২০১৫ সাল থেকে কাজ করে চলেছে তাঁর সংস্থা ‘লিভ- লাভ- লাফ’।