অন্য কোনও দেবদেবী নন, এই দম্পতির আরাধ্য দেবতা একজনই। তিনি বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ। ঘরের দেওয়ালে ক্যাটরিনার ছবি টাঙিয়ে রোজ তাঁকে রীতিমতো পুজো করেন এই দম্পতি। কিন্তু কেন? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
কেউ শিবের উপাসক তো কেউ বিষ্ণুর। কেউ আবার দুর্গা কিংবা লক্ষ্মীর মতো দেবীকেই নিজের আরাধ্য বলে মেনেছেন। তবে প্রচলিত দেবদেবীদের নিয়ে মন ওঠেনি এই দম্পতির। তাই নিজেদের জন্য এমন একজন দেবীকে খুঁজে নিয়েছেন তাঁরা, যা একেবারেই অভিনব। আর তাঁকেই গৃহদেবতার মতো রোজ পুজো করে থাকেন এই দম্পতি। তিনি আর কেউ নন, বলি তারকা ক্যাটরিনা কাইফ। আজ্ঞে হ্যাঁ, শুনতে আশ্চর্য লাগলেও সত্যি। বলিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীকেই কার্যত নিত্যপূজা করে থাকেন এই দম্পতি। তাও এক দু-দিন নয়, দশ বছর ধরে এই দেবীকেই পুজো করে আসছেন তাঁরা। আর পুজো শেষে দেবীর কাছে রোজ প্রার্থনা করতেও ভোলেন না তাঁরা। কিন্তু কেন ক্যাটরিনাকে পুজো করাতেই মন তাঁদের? তাহলে খুলেই বলা যাক।
জানা গিয়েছে, ওই দম্পতি হরিয়ানার চরখি দাদরি গ্রামের বাসিন্দা। বান্টু এবং তাঁর স্ত্রী সন্তোষ ক্যাটরিনাকে দেবীর মতোই পুজো আর্চা করে চলেছেন এই এতগুলি বছর ধরে। যেভাবে কেউ বাড়িতে ঠাকুর-দেবতার ছবি টাঙিয়ে রাখেন, ঠিক সেইভাবেই বাড়ির দেওয়ালে ক্যাটরিনার অন্তত গোটা দশেক ছবি তাঁরা সাজিয়ে রেখেছেন। আর ঠাকুরের মতোই রোজ দুবেলা সেই ছবির সামনে পুজো করেন তাঁরা। শুধু রোজকার পুজোই নয়, ক্যাটরিনার জন্মদিনে থাকে বাড়তি আয়োজন। প্রতি বছর ক্যাটরিনার জন্মদিন পালন করেন দম্পতি। রাত ১২টায় কেক কাটেন। ক্যাটরিনার জন্মদিন উপলক্ষে গোটা গ্রামে লাড্ডুও বিতরণ করেন তাঁরা।
আসলে, ২০০৪ সালে প্রথম ক্যাটরিনার ছবি দেখেছিলেন ওই যুবক। আর তারপর থেকেই ক্যাটরিনার ‘ভক্ত’ হয়ে ওঠেন তিনি। এদিকে বছর কয়েক পরেই তাঁর বিয়ে হয় সন্তোষের সঙ্গে। বিয়ের পর জানতে পারেন, স্ত্রী সন্তোষও ক্যাটরিনার ভক্ত। ওই তরুণী বলেছেন, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে এসে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। স্বামীও যে তাঁর মতোই ক্যাটরিনার ভক্ত, সে কথা জেনে রাগ হওয়া দূর, বরং নিশ্চিন্ত হয়েছেন তিনি। আর তারপর থেকেই দুজনে মিলে জোরকদমে নিজেদের আরাধ্য দেবীর পুজো চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই নাকি স্বামী-স্ত্রী দু’জনে হাতজোড় করে ক্যাটরিনার ছবির সামনে দাঁড়ান। যেভাবে ঈশ্বরপ্রণাম করে মানুষ দিন শুরু করে, তেমনটাই করেন তাঁরা। একটাই প্রার্থনা তাঁদের, যেন একবার অন্তত ক্যাটরিনার সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়। দেবীর দর্শন পাওয়ার জন্যই নিয়মিত প্রার্থনা করে চলেছেন তাঁরা।