অনেক কিছু বলার ছিল, কন্যাভ্রূণ হত্যের প্রতিবাদে একটা জোরালো সিনেমা হতেই পারত… কিন্তু ওই চুমু, কান্না মিলিয়ে মিশিয়ে কী যে একটা ঘণ্ট হয়ে গেল….
অনেক দিন পর কোনো ফিল্মের ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো দেখতে গেছিলাম গো। পরিচালক দিভ্যাঙ্গ ঠাক্করের ফিল্ম জয়েশভাই জোরদার। ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শোয়ের সেই ক্রেজটা এই ওটিটির যুগে আর বেঁচে বর্তে নেই। তার ওপর রণবীর আমায় এমন দুঃখ দিল যে আমি নাকের জলে চোখের জলে হয়ে বাড়ি ফিরলাম। তাহলে খুলেই বলি কী হয়েছে।
আরও শুনুন: থর আসলে হনুমান, কর্ণ আয়রন ম্যান! অ্যাভেঞ্জার্স বেদ-মহাভারত থেকেই অনুপ্রাণিত, দাবি কঙ্গনার
দু-বছর অপেক্ষায় থেকে শেষমেশ রিলিজ হল রণবীর সিং অভিনীত ‘জয়েশভাই জোরদার’। অপেক্ষা করছিলাম সেই কবে থেকে দেখব বলে। প্রথমেই যেটা বলার সেটা হল রণবীরের অভিনয়। ওকে দেখতেই তো সিনেমা হলে যাওয়া। আর তার সাথে সেই অর্জুন রেড্ডি খ্যাত নায়িকা শালিনী পাণ্ডে মানে মুদ্রাকেও বেশ লেগেছে। কিন্তু সেইখানেই যত বিপত্তি। ভাবলাম অনেকদিন পর তোমাদের সঙ্গে গুছিয়ে গল্প করা যাবে সিনেমা নিয়ে। আর রণবীরকেও একটু ভালমতো দেখা যাবে। ছেলেটাকে আমার বেশ ভাল লাগে। মানে লাগত, কিন্তু কে জানবে সে মানুষটা আমায় এমন দাগা দেবে! শেষ সময়ে সে জয়েশভাই মানে আমাদের রণবীরকে জাপটে ধরে এমন চুমু খেল, এমন চুমু খেল যে, এমন চুমু খেল – যে ডেলিভারি হয়ে গেল! ছবির নায়ক, জয়েশের ৯ বছরের বিয়ে করা বউ মুন্দ্রা, নাকি ডেলিভারির সময় আর বাঁচবে না, তাই অপারেশন টেবিলেই, পাশে দাঁড়িয়ে থাকাকে বরকে জাপটে ধরে চুমু খেল। আর, খেতেই থাকল। বাবা গো বাবা! সে আর ছাড়েই না। আমার মনের ভেতরটা তখন যে কী হচ্ছিল কী বলব! চোখের জল, নাকের জল এক হচ্ছিল। বেচারি দীপিকার জন্যেও একটু একটু মন কেমন করছিল তখন, সত্যি বলছি। একবার, ঠিক এমনি করেই আমার মন ভেঙেছিল আমির। করিশ্মার সঙ্গে উফ! সেইইই বৃষ্টিভেজা চুমুটা! মনে পড়লেই…
শুনে নিন বাকি অংশ।