পুজোর সময় কটাদিন সব নিয়ম যাকে বলে একেবারে ঘেঁটে ঘ। খাওয়া দাওয়া থেকে রাতজাগা, সবই হয়েছে মাত্রাছাড়া। আর শরীর তাই মাঝেমধ্যেই জানান দিচ্ছে যে, ব্যাপারটা মোটেও সুবিধের দিকে যায়নি। বদহজম থেকে ব্রণ, জ্বরজ্বালা থেকে ওজন বাড়া- নানারকম সমস্যা আপনাকে রীতিমতো ভয় দেখাচ্ছে। তবে, এর সহজ সমাধান কিন্তু হতে পারে আমলকী। আসুন, আমলকির গুণাগুণ জেনে নেওয়া যাক।
কারও গলা খুশখুশ করছে। কারও আবার সিজন চেঞ্জের জন্য জ্বরজ্বর ভাব। এদিকে কারোর বদহজম সেই যে শুরু হয়েছে, হাজার অ্যান্টাসিডেও কাটছে না। পুজোর ক-দিন তো চেনা রুটিনকেও ছুটি দিয়ে দিয়েছেন। তার ফল ফলতে শুরু করেছে এবার। নানারকম খুচরো অসুখে একেবারে যাকে বলে নাজেহাল অবস্থা। তবে এইসবকিছু থেকে মুক্তি দিতে পারে একটি জিনিসই- সে হল আমলকী। আসুন জেনে নিই, নিয়মিত যদি আমলকী খাওয়া শুরু করেন তাহলে কী কী উপকার হতে পারে।
প্রথমত, বদহজম থেকে মুক্তি মিলবে। খাওয়াদাওয়া অসময়ে এবং অনিয়ন্ত্রিত মাত্রায় হওয়ার কারণে, আর দোসর রাতজাগা থাকায়, অনেকেই এখন কনস্টিপেশনে ভুগছেন। খালি পেটে যদি আমলকী খাওয়া শুরু করেন তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। তবে, একদিনেই যে ম্যাজিকের মতো ফল মিলবে তা নয়। নিয়মিত এই টোটকা চালিয়ে যেতে হবে।
আরও শুনুন: শিউলির গন্ধেই আসে বাঙালির শরৎকাল… জানেন কী কী রোগ সারাতে পারে এই ফুল?
আমলকীতে থাকে ভিটামিন সি। ফলে আমলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলতে দারুণ সাহায্য করে। পুজোর এই সময়টায় সিজন চেঞ্জের কারণে হালকা সর্দিকাশি লেগেই থাকে। আমলকির গুণে তা দূর হতে পারে। আবার পুজোর সময় খাওয়া-দাওয়া, রাত জাগা ইত্যাদির কারণে অনেকের ত্বকেই ব্রণ ফুটে ওঠে। বিশেষত অল্পবয়সিদের। তারা ব্রণকে যত অপছন্দই করুক না, বেয়াড়া ব্রণ ঠিক ফিরে ফিরে আসেই। আমলকিতে থাকে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। যা কিনা এই ব্রণর সমস্যাকে দূর করতে পারে।
আরও শুনুন: এই খাবারগুলি ফ্রিজে রাখেন! ভুলেও এই ভুল করবেন না
আর এই সময় প্রায় সবাইকে যে ব্যাপারটি টেনশনে ফেলে দেয়, তা হল ওজনবৃদ্ধি। নিয়মিত ব্যায়াম করা হয়নি। তার উপর খাওয়া-দাওয়াও হয়েছে বেশ ভালোরকম। ফলে ওজনের বাড়বাড়ন্ত যে ভয় দেখাবে, তা তো স্বাভাবিক। আমলকীর মধ্যে ফ্যাট বার্ন করার গুণ রয়েছে। ফলে নিয়মিত আমলকীর জুস যদি পান করা যায় তাহলে মেটাবলিজিম ঠিক থাকে এবং ওবেসিটি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
অতএব পুজোয় নিয়ম ভাঙার দরুণ যা যা শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে আমলকী। নিয়মিত খালি পেটে আমলকী খাওয়ার অভ্যাসটুকু শুধু চালিয়ে যেতে হবে।