দুর্গাপুজোয় অতি গুরুত্বপূর্ণ দিন মহাষ্টমী। আনন্দের সেরা দিন। এদিন সকালে উঠেই আছে মাকে অঞ্জলি দানের অতি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। এছাড়াও এই তিথিতে কিছু আচার পালন করলে মেলে দেবীর কৃপা। সৌভাগ্যে ভরে ওঠে জীবন, সংসারে আসে সমৃদ্ধি। কিন্তু কোন আচার কীভাবে পালন করলে সমৃদ্ধি আসবে সংসারে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
দুর্গাপুজোর চারদিনের মধ্যে অষ্টমী তিথিটি যে অতি গুরুত্বপূর্ণ, সে কথা বলা আছে শাস্ত্রে। মনে করা হয়, এই দিনে ভক্তের সকল কামনা পূরণ হতে পারে, যদি দেবী কৃপা করেন। সেক্ষেত্রে, কোন আচার কীভাবে পালন করবেন, সেই বিষয়েও বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে শাস্ত্রে।
আরও শুনুন: রাজার শখ… আর কিছু নয় একেবারে জোড়া বাঘ পুষেছিলেন কৃষ্ণনগরের মহারাজা
যেমন, অষ্টমীর দিন সকালবেলা শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করে ‘দুর্গা চালিশা’ পাঠ করলে দেবী কৃপা করেন। অষ্টমী তিথিতে দেবীর চরণে একটি কড়ি রাখুন। অষ্টমীর পুজো শেষ হয়ে গেলে সেই কড়ি বাড়িতে এনে ঠাকুরের আসনে রেখে দিন। প্রসন্ন হবে আপনার ভাগ্য। শাস্ত্র অনুযায়ী অষ্টমীর দিন দেবীর চরণে ১০৮টি লাল পদ্ম অর্পণ করলে এবং ১০৮ বার দেবীর নাম জপ করলে সংসারে সমৃদ্ধি আসে।
সন্ধিপুজোর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুজোটি দেখুন এবং সেই সময়ে দেবীর রূপ দর্শন করুন। এই দর্শনও সৌভাগ্য বয়ে আনে। সন্ধিপুজো হয়ে যাওয়ার পর দেবীর চরণ থেকে একটি পদ্ম ফুল এনে নিজের ঘরে রেখে দিন। দেবীর কৃপা পাবেন। অষ্টমীর দিন সন্ধ্যাবেলা মায়ের সামনে ১০৮টি পদ্ম ফুল নিবেদন করতে পারেন। শাস্ত্র অনুযায়ী তা মঙ্গলজনক হবে আপনার জন্যে।
আরও শুনুন: ঠাকুর দেখার ভিড় থেকেই হতে পারে মারাত্মক সংক্রমণ, কীভাবে সাবধান থাকবেন?
এই তিথিতে লাল বা হলুদ রঙের বস্ত্র বাড়িতে কিনে আনা অত্যন্ত শুভ বলে মানে করা হয়। দুর্গাপুজোর যে কোনও দিন বাড়িতে দক্ষিণাবর্ত শঙ্খ প্রতিষ্ঠা করলে সংসারের মঙ্গল হয়। যা অষ্টমী তিথিতেও শুভ। শাস্ত্র মতে অষ্টমীর দিন ন’জন বাচ্চা মেয়ের পা ধুইয়ে তাঁদের যদি ভালো-মন্দ খাওয়াতে পারেন, তাহলে দেবী প্রসন্ন হন। এতে ভক্তের ইচ্ছে পূরণ হতে সময় লাগবে না। এইসঙ্গে দেবীর আশীর্বাদে পরিবারে কোনও ধরনের সমস্যা বা ঝামেলা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও কম যাবে বলে মনে করা হয়।
অর্থাৎ কিনা অষ্টমী তিথি যেমন দুর্গাপুজোর আনন্দের সেরা দিন, তেমনই এই তিথিতে নির্দিষ্ট নিয়ম পালন করলে সংসারে সুখ, সমৃদ্ধি আসতেও সময় লাগে না।