কোনও কিছুতে ক্ষুব্ধ। হতাশ। বিরক্ত এবং ক্রুদ্ধ। এরকম একটা এক্সপ্রেশন দিতে বললে পাকা অভিনেতারাও দু-মুহূর্ত সম্ভব নেবেন। অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ক্লিকেই খুঁজে পাবে এরকম এক ব্যক্তিকে। অজস্র মিমে মিমে ছড়িয়ে আছে তাঁর ছবি। দু-হাত কোমরে। গায়ে চেক শার্ট। তার উপর আলুথালু ঝোলানো একটা কোট। আর মুখে ওরকম এক্সপ্রেশন। হ্যাঁ, এই মানুষটির ছবি আপনিও নিশ্চয়ই দেখেছেন বহুবার। কিন্তু জানেন ইনি কে?
রাগ, ক্ষোভ হতাশা যখন একসঙ্গে পেয়ে বসে, তখন কেমন হবে মুখের চেহারা? না এর জন্য আপনাকে বড় বড় অভিনেতার প্রোফাইল ঘাঁটতে হবে না। স্রেফ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্ট দেখুন। দেখবেন, এই ধরনের তিনটে মিমের মধ্যে দুটোতেই থাকে তাঁর ছবি। একরাশ বিরক্তি হতাশা নিয়ে রাগী চোখে তাকিয়ে আছেন এক ব্যক্তি। ছবি তো তাঁর দেখেইছেন? কিন্তু তাঁর সম্পর্কে কতটুকু জানা যায়? আর কেনই বা তিনি এমন হতাশাময় এক্সপ্রেশন দিয়েছিলেন।
আরও শুনুন: মাছেরাও নাকি হয়ে পড়ছে নেশায় আচ্ছন্ন! কেন হচ্ছে এমনটা?
ভদ্রলোকের নাম সারিম আখতার। পাকিস্তানি ক্রিকেটের ভক্ত। যাকে বলে, একেবারে জাবরা ফ্যান। ২০১৯ বিশ্বকাপে ক্রিকেটার আসিফ আলি যখন একটা ক্যাচ মিস করেন, তখন সরিমের চোখেমুখে চলে এসেছিল এই এক্সপ্রেশন। ক্যামেরা মুহূর্তটিকে চিরস্থায়ী করতে দেরি করেনি। আর তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় যেন ঢেউয়ের মতো ছড়িয়ে পড়ে তাঁর ছবি। রাগত অভিব্যক্তি মানেই চলে আসে তাঁর মুখ। মিমারদের কাছে তিনি যেন হয়ে ওঠেন নয়নের মণি।
আরও পড়ুন: বাঙালিকে চায়ের নেশা ধরিয়েছিল ব্রিটিশরা, কীভাবে জানেন?
সম্প্রতি এই সারিম আখতার জায়গা পেয়ে গেলেন একটি পাঠ্যবইয়ে. Glared শব্দটির অর্থ বোঝানো হয়েছে সেখানে। যার মানে, রাগত অবস্থায় তাকানো। এর গ্রাফিক এক্সপ্ল্যানেশন বা ছবি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সারিমের ছবি। সম্ভবত এর থেকে ভালো অভিব্যক্তি আর মিলবে না, যা দিয়ে এই গ্লেয়ারড শব্দটি পড়ুয়াদের বোঝানো যায়।
তাঁকে নিয়ে যে গোটা বিশ্বে এত অজস্র মিম তৈরি হয়, তা নিয়ে অবশ্য অখুশি মনে হয়নি সারিমকে। এই পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্তিও তাঁর কাছে এসেছে বেশ আমোদের জিনিস হয়ে। কেননা নিজেই টুইটারে সে খবর শেয়ার করেছেন সারিম। মিম হোক বা বই, সারিমের জনপ্রিয়তায় যে ভাটা প্রেনি তা বেশ ভালোই বোঝা যায়।