সাধ্বী হতে কুম্ভে এসেছিলেন। স্বেচ্ছায় সন্ন্যান নিয়েও ফেলেছেন। পাশাপাশি নিজের অজান্তেই হয়েছেন ভাইরাল। প্রয়াগের মেলায় সদ্য সন্ন্যাস নেওয়া এই সাধ্বীকে ঘিরেই এখন ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে। নিজের জীবনের কথা বলতে গিয়ে কী এমন কাহিনি শোনাচ্ছেন ওই সাধ্বী? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
কুম্ভ যেন ভাইরাল কনটেন্টের আঁতুড়ঘর! কখনও ইঞ্জিনিয়ার বাবা, কখনও সুন্দরী সাধ্বী, কখনও আবার অন্য কিছু। কেউ কেউ এই ভাইরাল হওয়ার জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে কুম্ভ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। কেউ আবার কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ছবি, ভিডিও করায়। এই আবহে নতুন অরে ভাইরাল এক বিমান সেবিকা। দাবি, লাখ টাকার চাকরি ছেড়ে তিনি কুম্ভে এসেছেন সাধ্বী হতে। তবে সেই গল্পে কারও তেমন মন নেই, সকলেই যেন তাঁর রূপে মজেছে।
যা কিছু প্রচলিত নয়, সে বিষয়েই সকলের খোঁজ। ভাইরাল কনটেন্টের জন্মও হয় সেভাবেই এতটুকু অন্যরকম কিছু দেখলেই ঝাঁপিয়ে পরেন নেটদুনিয়ার বাসিন্দারা। সেই নিয়ে চর্চা হয়, বিতর্ক জমে, মুখোরোচক আলোচনা চলে বেশ কয়েকদিন। কুম্ভের আবহে এমন ঘটনা নেহাতই কম হয়নি। একের পর এক সাধু ভাইরাল হয়েছেন নেটদুনিয়ার দৌলতে। এঁরা প্রত্যেকেই ‘অসাধারণ’। অন্তত নেটিজেনদের বিচারে। কারও মাথায় ফলছে ফসল, কেউ আবার স্নান করেননি ৩২ বছর। শরীরে ৪৫ কেজি রুদ্রাক্ষ ধারণ করেও সকলের নজর কেড়েছেন এক সিদ্ধ্বপুরুষ। তবে চর্চার দৌড়ে অনেককে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছেন আইআইটি বাবা। প্রথমত ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে সন্ন্যাস নেওয়া, দ্বিতীয়ত বিভিন্ন বিষয়ে অদ্ভুত মন্তব্য করা, সবমিলিয়ে আইআইটি বাবা তথা অভয় সিং বিগত কয়েকদিনে নেটদুনিয়ার অন্যতম পছন্দের চর্চা হয়ে উঠেছেন। একইসঙ্গে ভাইরাল হয়েছিলেন সুন্দরী সাধ্বী হর্ষা রিচারিয়া। তাঁকে নিয়েও কম চর্চা হয়নি। কেন এই পথ বেছে নিলেন তিনি, কীভাবে সন্ন্যাস জীবনে তাঁর আগমন, এইসবই আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। এবার সেই পথ ধরেই ভাইরাল আরও এক সাধ্বী।
ইনিও সুন্দরী। একসময় কাজ করতেন বিমান সেবিকা হিসেবে। লাখ টাকারও বেশি বেতন পেতেন প্রতিমাসে। কিন্তু সেই জীবন ভালোবাসার ছিল না। আধ্যাত্মিকতার টানে সব ছেড়ে কুম্ভে আসার সিদ্ধান্ত নেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। মেলায় এসে সন্ন্যাস নেন। অর্থের বিলাসীতা ছেড়ে বেছে নেন কষ্টের জীবন। তবে এতেই শান্তি, এমনটা দাবি করছেন ওই বিমান সেবিকা। ভাইরাল ভিডিওতে তাঁর নাম জানা যায়নি। তবে কিছুদিনের মধ্যেই হর্ষার মতো এই মহিলার ঠিকুজি-কুষ্ঠি সামনে আসবে, তা বলাই যায়। নেটিজেনরাও সেই সুরেই সুর মেলাচ্ছেন। অনেকেই মনে করছেন, স্রেফ ভাইরাল হওয়ার লোভে এমনটা করেছেন ওই বিমানসেবিকা। কুম্ভকে জনপ্রিয় হওয়ার সহজ পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন ওই মহিলার মতো আরও অনেকে, এই দাবিও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অনেকেই করছেন। কেউ কেউ এমনটাও বলছেন, এই জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে পরবর্তীকালে রোজগার করবেন এই ভাইরাল হওয়া মানুষজন। বাস্তবে আদৌ তা হবে কি না, সেসব সময় বলবে। আপাতত এই বিমান সেবিকার ভিডিওতেই মজেছে নেটদুনিয়ার বড় একটা অংশ।