কুখ্যাত জঙ্গি। বিশ্বের ত্রাস। গুলি-বারুদ-বোমা নিয়ে যার কাজকর্ম, সে-ও কিনা আসক্ত ছিল পর্নোগ্রাফিতে! লাদেনের মৃত্যুর পর তার ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া পর্নের কালেকশন সেই কথাই জানাচ্ছে।
পাকিস্তানের ঘড়িতে রাত তখন একটা। আফগানিস্তানের বাগরাম সেনা ঘাঁটি থেকে দুটি ব্ল্যাক হক্ হেলিকপ্টারে উড়ে এল পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে। নেভি সিল সিক্স। আমেরিকার সবচেয়ে ধুরন্ধর, দক্ষ কম্যান্ডো টিম। ঊনআশি জনের দল রাতের অন্ধকারে ঘিরে ফেলল পুরো বাড়িটিকে। যেমন তেমন বাড়ি তো সে নয়। নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি তাঁর চারিদিকে। জানা যায় বাড়িটি তৈরি ২০০৪ নাগাদ। বাড়ির খুব কাছেই পাকিস্তানের সেনা প্রশিক্ষণের অ্যাকাডেমি। ফলে জায়গাটা যেমন নিরাপদ, তেমনই সন্দেহের বাইরে। কিন্তু আশেপাশের ছোট খাটো বাড়ির থেকে এই বাড়িটা যেন আলাদা। আকারে অন্যান্য বাড়ির থেকে প্রায় আট গুণ বড়। বিশাল পাঁচিলে ঘেরা। পাঁচিলের ওপরে মোটা কাঁটা তারের ফেন্সিং। কিন্তু এই বাড়ির কেউই তেমন বেরোন না। অন্যান্য বাড়ির বাসিন্দারা জঞ্জাল ফেলেন। এই বাড়ির বাসিন্দারা তাঁদের জঞ্জাল বাড়ির মধ্যেই পুড়িয়ে ফেলেন। সেই বাড়িতে মাঝরাত্তিরে হানা মার্কিন বাহিনির। লক্ষ্য একজনই। ওসামা বিন লাদেন। মার্কিন ইতিহাসের কুখ্যাততম হামলার নায়ক তিনি। উদ্দেশ্য তাকে খতম করা।
আরও শুনুন : যেমন Breast তেমন Tax, প্রথার নামে দেশের মেয়েদের সইতে হত যৌন হেনস্তাও
তিন তলা বাড়িটির, দোতলায় ছিলেন ওসামা। তিনি দিব্যি কুর্তা পাজামা পরে, আরাম করছিলেন। কাছে কোনও অস্ত্র ছিল না। যদিও তাঁর ঘরে ছিল, একটা একে ফর্টি সেভেন, আর একটি মারাকোভ পিস্তল।
লাদেন আচমকা এই হামলা থেকে বাঁচতে, তাঁর সর্বকনিষ্ঠ স্ত্রী আমাল আহমেদকে চেষ্টা করেছিলেন মানববর্ম বানাতে। নেভি সিলের দল আমালের পায়ে গুলি করে। লাদেন ঘরে গিয়ে একে ফরটি সেভেন ছোঁয়ার আগেই ঝাঁঝরা। সব মিলিয়ে অপারেশনে সময় লাগে, আটত্রিশ মিনিট। প্রথম পনেরো মিনিটেই মিটে যায়, নিকেশ পর্ব। লাদেন ছাড়াও মৃত্যু হয় আরও চারজনের।
আরও শুনুন – Sex Slave: যৌনদাসীর দিনরাত, ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানিয়েছিলেন Nadia Murad
নেভি সিলের তড়িঘড়ি অভিযানের বেশ কিছু নির্দিষ্ট কারণ ছিল। আল কায়দা প্রধানকে সময়ের মধ্যে গুম করলেই হত না, পাকিস্তানি আর্মি পৌঁছনোর আগেই সেখানে পাওয়া প্রতিটি জিনিস সহ চিহ্নহীন ভাবে তাদের পাততাড়ি গোটাতে হত। ওসামার কম্পাউন্ডের মধ্যেই মেলে দশটা কম্পিউটার হার্ড ডিস্ক, প্রচুর ডিভিডি, শ খানেক থাম্ব ড্রাইভ, ডজনখানেক সেল ফোন, তিনটি কালাশনিকভ রাইফেল, দুটো পিস্তল এবং একটি হাতে লেখা ডায়েরি। ইতিমধ্যে দুটো ব্ল্যাক হকের একটি এমন বিগড়েছিল, কিছুতেই ওড়ে না। সেই কপ্টারটিকে সেখানেই পুরোপুরি নষ্ট করা হয়। ওসামার বাড়িটি ঘিরে ওই রাতেই জমছিল আশেপাশের উৎসুক জনতার ভিড়। উর্দু জানা এক আমেরিকান সেনা মেগাফোনে জানান, পাকিস্তানি আর্মির নাইট ট্রেনিং চলছে, ভিড় না করে যে যার বাড়ি চলে যান। … বাকিটা শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।