আমিষ ছাড়া মুখে রোচে না কিছুই। এদিকে শনিবার বাড়িতে নিরামিষ হওয়াই নিয়ম। মনের দুঃখে অনেকেই দিনটা উপোস করে কাটান। কিন্তু বাঘকেও এমন নিয়ম মানতে শুনেছেন? প্রতি শনিবার উপোস করে কাটায় বিড়ালের মাসিও। কোথায় জানেন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
‘পায়ে পড়ি বাঘ মামা, করো না কো রাগ মামা, তুমি যে এ ঘরে কে তা জানত’… বাঘের নাম শুনলেই মনে পড়ে যায় বিখ্যাত এই গানের কথা। সিনেমা দেখে যতই আনন্দ হোক, সামনে থেকে বাঘের সামনে পড়লে কী অবস্থা হবে ভেবে দেখুন তো! বাঘ কিছু করুক না করুক, গলদঘর্ম হতে বাধ্য যে কেউ।
আরও শুনুন: হাতিতে চড়ে দেখান বাঘের খেলা, দেশের প্রথম মহিলা সার্কাস খেলোয়াড় এক বাঙালি সাহসিনীই
আর এমন ভয়ের একমাত্র কারণ বাঘের হিংস্রতা। বাঘের থাবায় বেঘোরে প্রাণ হারানো সুন্দরবনের মানুষের কথা কারও অজানা নয়। আবার ডিসকভারির মতো চ্যানেল খুললেই ভেসে ওঠে বাঘের শিকারের ভয়ংকর ছবি। কিন্তু সেই বাঘও আমিষ না খেয়েই দিন কাটাচ্ছে এমনটা কখনও শুনেছেন? অবাক লাগলেও সত্যি। নেপালের এক চিড়িয়াখানায় এমনই নিয়ম। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এমনই তথ্য সামনে এসেছে। এমনিতে যে কোনও চিড়িয়াখানায় বাঘের জন্য আলাদা ভাবে ডায়েটের ব্যবস্থা থাকে। নেপালের এই চিড়িয়াখানাও ব্যতিক্রম নয়। সেখানকার বাঘেদের ডায়েটেও প্রায় রোজই কয়েক কেজি মাংস থাকে। বাঘিনীদের পাতে পড়ে অন্তত ৫ কিলো মাংস, বাঘের প্লেটে আরও এক কেজি বেশি। ব্যতিক্রম শনিবার। এইদিন বাঘের দলকে একটুকরোও মাংস দেওয়া হয় না।
আরও শুনুন: রাজার শখ… আর কিছু নয় একেবারে জোড়া বাঘ পুষেছিলেন কৃষ্ণনগরের মহারাজা
মনে হতেই পারে, বাড়িতে যেমন প্রতি শনিবার নিরামিষ খাওয়ার নিয়ম, এখানেও ব্যাপারটা তেমন। আসলে ঠিক তা নয়। সপ্তাহে একদিন বাঘের দলকে মাংস দেওয়া হয় না তাদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই। এবার মাংস ছাড়া বাঘ আর কিছুই মুখে তুলবে না। তাই কার্যত নিরামিষ খেয়েই কাটাতে হয় তাদের। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রতি শনিবার বাঘের দলকে উপোস রাখা হয় ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য। সেইসঙ্গে হজমের কোনও সমস্যা হলেও সেটা ঠিক হয়ে যায় এই অভ্যাসের জেরেই। শুধু তাই নয়, কোনও বাঘ অসুস্থ হলে তার চিকিতসাও করা হয় এভাবেই। দীর্ঘদিন ধরে এমন নিয়ম মেনে আসছে নেপালের ওই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। আর সেখানকার বাঘের দলও সপ্তাহে একদিন উপোস থেকে নিজেদের শরীর সুস্থ রাখছে।