পয়লা বৈশাখের আগেই রাজ্যে ‘পর্যাপ্ত’ কেন্দ্রীয় বাহিনী। থাকছে বিকল্পও, ১০০ শতাংশ বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ভাবনা নির্বাচন কমিশনের। ভোটে ব্যবহার করায় মানা, তৃণমূল বিধায়কের স্বামীকে সরাল কমিশন। ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর। বিজেপিতে যোগ না দিলেই গ্রেপ্তার, আশঙ্কা অতিশীর। ৬ মাস পর জামিন সঞ্জয় সিং-এর। ক্ষমতা দখলের লড়াই চলছে আপে, তোপ বিজেপির। পালটে গেল ইডেনে কেকেআরের ম্যাচের সূচি। পরিবর্তিত দিনক্ষণ জানাল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 31 মার্চ 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে তোপ, ভোটের প্রচার শুরু মুখ্যমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
1. লোকসভায় রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হওয়ার কথা বাংলায়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত বাহিনী মিলবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রশাসনের অন্দরেই। তবে পয়লা বৈশাখের আগে রাজ্যে পর্যাপ্ত বাহিনী পাঠানোর কথা জানাল কমিশন। পাশাপাশি বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে আগেভাগেই সব বুথে ওয়েব কাস্টিং করার ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে কমিশন।
ভোটের জন্য বাংলায় আসার কথা মোট ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিকে ১৪ এপ্রিল রাজ্যের প্রথম দফার ভোট। উত্তরবঙ্গে তিনটি লোকসভা কেন্দ্র মিলিয়ে মোট বুথ সংখ্যা প্রায় ৫৪০০টি। তার মধ্যে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামানিক ও রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহর লড়াইয়ে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত কোচবিহার। প্রাথমিকভাবে অনুমান ওই লোকসভা কেন্দ্রগুলোতে ৭৫ শতাংশের বেশি বুথ স্পর্শকাতর। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক বিধানসভা এলাকায় ১৬-১৮ কোম্পানির বাহিনীর প্রয়োজন হয়। প্রত্যেক লোকসভা কেন্দ্রে থাকে ৭টি বিধানসভা। সব হিসাব কষলে তিনটি লোকসভায় প্রায় ৩৭৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১৭৭ কোম্পানি বাহিনী রয়েছে। সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করতে হলে অন্তত আরও ২০০ কোম্পানি বাহিনী প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে যাতে অন্তত ভোটদান প্রক্রিয়ায় নজরদারি চালানো যায়, সেইজন্য প্রথম দফার নির্বাচনে রাজ্যের প্রতিটি বুথে ওয়েব কাস্টিং করা হতে পারে বলেই ধারণা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের।
2. ভোটের মুখে ফের বদলি রাজ্য প্রশাসনে। রাজ্য পুলিশের ডিজি, চার জেলার জেলাশাসক, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দুই আধিকারিকের পর এবার কমিশনের নজরে তৃণমূল বিধায়কের স্বামী। মঙ্গলবার রাজ্য শাসক দলের বিধায়ক লাভলি মৈত্রের স্বামী ডিসিপি সৌম্য রায়কে সরাল নির্বাচন কমিশন। কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ পশ্চিম ডিভিশনের ডিসিপি পদে কর্তব্যরত ছিলেন তিনি। একুশের বিধানসভা ভোটের সময়ও নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে সৌম্য রায়কে বদলি করেছিল কমিশন। এবারও বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁকে ভোট সংক্রান্ত কোনও কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
যদিও কমিশনের এই ভূমিকায় রীতিমতো অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রকে তাঁর পালটা প্রশ্ন, “নিজেদের কটা অফিসারকে বদলি করেছে? কজন বিএসএফকে বদলি করেছে?” স্ত্রী বিধায়ক বলে কি স্বামী চাকরি করবে না? ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশ্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।