কন্ডোমেরও থাকে এক্সপায়ারি ডেট, ভুল নিরোধ ব্যবহারে মারাত্মক ক্ষতি করছেন না তো?

যত হেলাফেলাই করা হোক না কেন, যত লজ্জার বালাই থাক না কেন, যৌনস্বাস্থ্য জিনিসটা কিন্তু মোটেও ফেলনা নয়। আর সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কন্ডোম। তবে সেই কন্ডোম যদি পুরনো হয় তাহলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।

আরও শুনুন: শীত পড়তেই শুরু গরম জলে স্নান, শরীরের কী ক্ষতি হচ্ছে জানেন?

শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। অন্যান্য ওষুধের মতো কন্ডোমেরও রয়েছে এক্সপায়ারি ডেট। যে পেরিয়ে গেলে সেই কন্ডোম আর ব্যবহার উপযুক্ত থাকে না। তখন তা ব্যবহার করলে হতে পারে নানা সমস্যা। আসলে আজকের দিনে দাঁড়িয়েও আমাদের সমাজে কন্ডোম নিয়ে যথেষ্ট ছুঁতমার্গ রয়েছে। ওষুধের দোকানে তা কিনতে গেলেও বেজায় লজ্জায় পড়েন অনেকেই। কোনও মতে দোকানি এগিয়ে দিলেই কিছু না দেখে পকেটে পোড়া। এমনকি কত দাম নিল সেসব নিয়েও মাথা ঘামান না কেউ কেউ। আর এখানেই যত সমস্যা। ভুল করে দোকানি যদি এক্সপায়ার হয়ে গিয়েছে এমন কন্ডোম দিয়ে ফেলেন, তাহলে তা ব্যবহার করে হতে পারে নানা সমস্যা। আবার উত্তেজনার চরম মুহূর্তে কন্ডোম পরার সময়ও অনেকেরই খেয়াল থাকে না প্যাকেটের গায়ে ডেট ঠিক আছে কি না। তাই সে ক্ষেত্রেও ভুল হতেই পারে।

আরও শুনুন: অন্তঃসত্ত্বা না হয়ে যৌনতা উপভোগ! সঙ্গম শেষে মূত্রত্যাগ কি আদৌ কার্যকরী?

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ঠিক কী সমস্যা হবে পুরনো কন্ডোম ব্যবহারে?

প্রথমেই বলতে হয় ত্বকের সমস্যার কথা। কন্ডোম এক্সপায়ার করে গেলে, তার মধ্যে থাকা ল্যুব্রিকান্ট শুকিয়ে যেতে পারে। যা ব্যবহার করলে ক্ষতি হতে যৌনাঙ্গের। শুধু তাই নয়, দীর্ঘক্ষণ ওই কোন্ডম ব্যবহার করলে চুলকানির মতো সমস্যাও হতে পারে। এরপর বলতে হয় গর্ভ নিয়ন্ত্রণের প্রসঙ্গে। ঠিক যে উদ্দেশ্য নিয়ে কন্ডোম ব্যবহার করা হয়, সেই কাজই সম্ভব হবে না যদি কন্ডোম এক্সপায়ার করে যায়। যৌন মিলনের সময় তা ছিঁড়েও যেতে পারে সহজেই। একইসঙ্গে নির্দিষ্ট ফ্লেভারের গন্ধ ছাড়াও এক্সপায়ার হয়ে যাওয়া কন্ডোম থেকে অবাঞ্ছিত কিছু গন্ধ আসতে পারে। যা যৌন মিলনের ক্ষেত্রে মোটেও সুখকর নয়। তাই কন্ডোম কেনার সময় বা ব্যবহারের আগে অবশ্যই প্যাকেটের গায়ে লেখা তারিখ মিলিয়ে নিন। বাড়িতেও দিনের পর দিন কন্ডোম রেখে দিলে তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই একবার প্যাকেট খুললে তা ব্যবহার করে ফেলাই ভালো। সেক্ষেত্রে যৌনতা যতই উদ্দাম হোক কোনও সমস্যা হবে না।