দত্তপুকুর বাজি কারখানার বিস্ফোরণে মৃত অন্তত ৮। ঘটনায় NIA তদন্তের দাবি বিজেপির। বিরোধীদের নিশানায় খাদ্যমন্ত্রী। দায় ISF-এরই, পালটা তৃণমূলের। নিহত বাজি কারখানার মালিক কেরামত আলি। মৃত্যু তাঁর ছেলেরও। অস্ট্রেলিয়ায় আমন্ত্রিত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে প্রাক্তন সেনাকর্মীরা। ভারতের নেতৃত্বে আরও ব্যাপক হয়েছে জি২০, দাবি মোদির। মুম্বই এফ সি কে হারিয়ে ডুরাণ্ডের সেমিতে মোহনবাগান।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. এগরার পর দত্তপুকুরের বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৮ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিতে অমিত শাহকে চিঠি রাজ্য বিজেপির। রবিবার সকালে আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বারাসত লাগোয়া দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোষপোল পশ্চিমপাড়া অঞ্চল। প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে যায় একটি দোতলা বাড়ি। আশপাশের অন্তত ১০০টি বাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয়দের দাবি, কেরামত এবং সামসুল দু’জনে মিলে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি করত। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বিস্ফোরণে মৃত বেআইনি বাজি কারখানার মালিক কেরামত আলি ও তাঁর ছেলের। অভিযোগ, বেআইনি বাজি দোতলা বাড়িতে মজুত করে রাখা হত। তা ফেটেই এমন বীভৎস ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় বাজি কারখানা চললেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। একইসঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক রথীন ঘোষেরও মদত ছিল বলে অভিযোগ তুলছেন কেউ কেউ। ঘটনায় সরব হয়েছে বিরোধীরাও। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, বারুদের স্তূপে রয়েছে বাংলা। ঘটনায় শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে বাজি কারখানায় খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের পরোক্ষ মদত ছিল বলেও অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। তবে সে দাবি খারিজ করেছেন খোদ মন্ত্রী। এলাকায় রমরমিয়ে চলা বাজি কারখানা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না বলেই জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতেন বলেও তাঁর দাবি। তবে এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় আইএসএফ নেতারা যুক্ত বলে পালটা অভিযোগ এনেছেন খাদ্যমন্ত্রী।
2. দত্তপুকুর বিস্ফোরণে মৃত বেআইনি বাজি কারখানার মালিক কেরামত আলি ও তাঁর ছেলে। এগরা বিস্ফোরণের পর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাতেও বন্ধ করেননি ব্যবসা। জামিনে মুক্ত হতেই দত্তপুকুরে বেআইনিভাবে চালাচ্ছিলেন ব্যবসা। রবিবার বিস্ফোরণ ঘটে দত্তপুকুরে। বারুদ-মজুত করে রাখা বাড়িটি ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয় অন্যান্য বাড়ি। অভিযোগ, জামিন পাওয়ার পর ওই এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বেআইনি বাজির কারবার শুরু করেছিলেন কেরামত। যার জেরেই দত্তপুকুরে রবিবার ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। তবে শেষরক্ষা হয়নি কেরামত ও তাঁর ছেলের। ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁদের। কিন্তু কীভাবে চোখ এড়িয়ে বেআইনি বাজি কারখানা চালিয়ে যাচ্ছিল, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।