যৌনতার কোনও বিধিবদ্ধ নির্ঘণ্ট নেই। এদিকে সঙ্গমকালীন সুরক্ষাও জরুরি। তাই বেশিরভাগ পুরুষই ওয়ালেটে রেখে দেন কন্ডোম। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হচ্ছে না তো? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
সঙ্গী যদি পাশে থাকে, আর যদি তাঁর সম্মতি থাকে, তাহলে কি আর যৌন ইচ্ছা বাঁধ মানে! না-মানারই কথা। তাতে আপত্তিও কিছু নেই। এদিকে বিনা সুরক্ষায় যৌনতা বিপজ্জনক। তাই সচেতন যাঁরা, তাঁরা হাতের কাছেই রেখে দেন কন্ডোম। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধিকাংশ পুরুষ কন্ডোম ব্যবহার করতেই জানেন না। ভুল করে ফেলেন নানারকম।
কী কী সেই ভুল?
এক তো কন্ডোমের সাইজের বিষয়টি অধিকাংশ পুরুষই জানেন না। তাঁরা ভাবেন, যেমন-তেমন একটি কন্ডোম থাকলেই সুরক্ষা একেবারে পাকা। কিন্তু ব্যাপারটা মোটেও তা নয়। কন্ডোম যদি পুরুষাঙ্গে ঠিকঠাক ফিট না করে, তবে অনেক সমস্যা ডেকে আনতে পারে। অবাঞ্ছিত প্রেগন্যান্সি থেকে যৌনরোগ, যৌনাঙ্গে সংক্রমণ, সবকিছুই হতে পারে। অর্থাৎ কন্ডোম পরার মূল উদ্দেশ্যই মাঠে মারা যায়, যদি কন্ডোম সঠিক সাইজের না হয়।
আরও শুনুন: ২৪ ঘণ্টায় ৫৭ জনের সঙ্গে যৌনতা, সঙ্গম শেষে কী অবস্থা হয়েছিল যুবকের?
অনেকেই জানেন না যে, কন্ডোমের এক্সপায়ারি ডেট থাকে। ফলত এই বিষয়ে তাঁরা খেয়ালও রাখেন না। এক্সপায়ারি ডেট পেরিয়ে যাওয়া কন্ডোম পরে সঙ্গমের অর্থ, যৌনরোগের সংক্রমণের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলা।
অনেকেরই অভ্যাস আছে, কন্ডমের প্যাকেট খোলার সময় দাঁত বা নখ ব্যবহার করার। তাতেও কন্ডোমে সূক্ষ্ম ফাটল দেখা দিতে পারে। যাতে আখেরে বিপদ বাড়বে বই কমবে না। সঙ্গমের সময় অনেকেই লুব্রিকেটিং পদার্থ ব্যবহার করেন। তবে, সবরকম লুব্রিকেটিং অয়েলের সঙ্গে কন্ডোমের তালমিল কিন্তু সমান নয়। ফলত অনেক সময়ই দেখা যায়, দুয়ে মিলে কন্ডোমে লিকেজ তৈরি হয়। যা বেশ বিপজ্জনক।
আরও শুনুন: মৃত্যুর আগে পেতে চান চরম সুখ! স্বামীর কাছে প্রাক্তনের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আবদার স্ত্রীর
অনেকেই আবার ওয়ালেটের ভিতর কন্ডোম রাখেন। যে কোনও জায়গায় যৌনতার সাধ হতে পারে, এই ভাবনা থেকেই তাঁরা এই কাজটি করে থাকেন। তবে কার্যক্ষেত্রে দেখা যায় তাঁদের এই ভাবনাটিই ব্যুমেরাং হয়ে যায়। কেননা ওয়ালেটে থাকার দরুন ঘর্ষণের ফলে কন্ডোমে সূক্ষ্ম ফাটল দেখা দিতে পারে। তাতে লিকেজের সম্ভাবনা বাড়ে। অতএব সুরক্ষিত যৌনতার জন্য কন্ডোম অবশ্যই ব্যবহার করুন। তবে কী কী ভুল করবেন না, তা অবশ্যই মাথায় রাখুন।