নিয়মিত যৌনতায় অনেকেই পরিতৃপ্ত হন। কিন্তু তা যদি মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে রীতিমতো সমস্যা হতে পারে। পুরুষ হোক বা মহিলা উদ্দাম যৌনতা কারও জন্যই হিতকর নয়। আর এমনটা দাবি করেন চিকিতসকরাই। এক সময় উদ্দাম যৌনতায় বাধ্য করা হতো এক যুবককে। রীতিমতো জোর করে প্রতিদিন ১০০জন মহিলার সঙ্গে যৌনতায় বাধ্য করা হতো তাঁকে। কার কথা বলছি? আসুন শুনে নিই।
পর্দা হোক বা বাস্তব, যৌনতা নিয়ে যথেষ্ট আকর্ষন রয়েছে অনেকেরই। বলা বাহুল্য, যৌনতাকে উপভোগ্য বিষয় হিসেবেই দেখেন তাঁরা। কিন্তু তা অবশ্যই একটা নির্দিষ্ট মাত্রা অবধি। মাত্রাতিরিক্ত যৌনতা অবশ্যই ভয়ানক সমস্যার কারণ হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে হয়েছিল এমনটাই। এক যুবককে নিয়মিত যৌনতায় বাধ্য করা হত। তাও প্রতিদিন প্রায় ১০০ মহিলার সঙ্গে।
আরও শুনুন: ম্যারাথন যৌনতাতেও টানটান পুরুষাঙ্গ, কোন কায়দায় হাসিল করেন পর্নতারকারা?
ভাবছেন তো, কোনও পর্নছবির পুরুষ অভিনেতার কথা বলছি? একেবারেই তা নয়। সময়টাও কয়েক শতক পুরনো। সে সময় ব্রাজিল সহ আফ্রিকার বেশ কিছু দেশে ইউরোপীয় উপনিবেশ ছিল। সেইসঙ্গে রেওয়াজ ছিল, মানুষ কেনাবেচার। অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে দাস হিসেবে বিক্রি করা হতো মানুষ। সাধারণত এঁরা কৃষ্ণাঙ্গ হতেন। শরীর স্বাস্থ্য ইউরোপীয় পুরুষদের তুলনায় যথেষ্টই ভালো হত। ফলে তাঁদের দিয়ে বিভিন্ন রকমের কাজ করাতেন মালিক শ্রেণীর লোকজন। বাড়ির কাজ থেকে আরম্ভ করে জমিতে চাষ করানো, পশুপালন ইত্যাদি যেসব কাজে অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রম প্রয়োজন তা করানো হত মূলত এঁদের দিয়েই। এমনই এক ক্রিতদাস ছিলেন পাটা সেকা। অন্যান্য ক্রিতদাসদের তুলনায় এই ব্রাজিলীয় তরুণ বেশ কিছুটা আলাদা ছিলেন। যেমন তাঁর চেহারা তেমন তাঁর গায়ের জোর। সেইসঙ্গে তাঁর শরীরের অভ্যন্তরীণ গঠনও নাকি অন্য অনেকের তুলনায় মজবুত ছিল। চট করে শরীর খারাপ তাঁর হত না। একইসঙ্গে তিনি যথেষ্ট বুদ্ধি ধরতেন। ইউরোপীয় মালিক এই বিশেষ অবস্থার দরুন তাঁকে সবসময় আলাদা নজরে দেখতেন। আর সেখান থেকেই শুরু হয় পাটা সেকার জীবনের এক অন্ধকার অধ্যায়। আসলে তাঁকে দিয়ে অদ্ভুত এক কাজ করাতেন ইউরোপীয় মালিক। মহিলাদের সঙ্গে জোর করে যৌনতায় বাধ্য করা হত তাঁকে। তাও প্রতিদিন প্রায় ১০০ মহিলার সঙ্গে। মনে করা হত, তাঁর ঔরসে জন্মালে সেই সন্তান তাঁর মতোই শক্তিশালী হবে। কিন্তু এই অস্বাভাবিক যৌনতা একেবারেই আনন্দের ছিল না পাটা সেকা-র জন্য।
আরও শুনুন: শিথিল পুরুষাঙ্গের দরুণ অতৃপ্ত সঙ্গিনী, শুধুই কি যৌনদোষ! নাকি অন্য রোগের লক্ষণ?
দীর্ঘদিন এই অত্যাচার চলেছিল তাঁর উপর। প্রায় ২০০ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন ওই ক্রিতদাস। এমনকি ওই অঞ্চলের বর্তমান জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ নাকি তারই বংশধর। তাঁর সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়া এক মহিলা একসময় তাঁর প্রেমে পড়েন। তাঁকেই বিয়ে করেন পাটা সেকা। সেখান থেকে তাঁর দাস জীবনের মুক্তি। শোনা যায়, সেই মহিলার গর্ভেও ৯ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। জীবিত ছিলেন একশো বছরেরও বেশি। তবে এখনও তাঁর এই অন্ধকার জীবন নিয়ে আলোচনা হয়েই থাকে। তাঁর এই কষ্ট প্রতিফলন ঘটায় তৎকালীন সমাজের পরস্থিতির। যা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেয় সে সময়ের নিষ্ঠুর পরিস্থিতির কথা।