কোভিড যখন ছিল না আর বর্তমান সময়ের মধ্যে আকাশপাতাল ফারাক। আগেকার স্বভাবিক জীবন আর এখনকার স্বাভাবিক জীবনের সংজ্ঞাটাই যেন বদলে গিয়েছে। আর তাই ভ্যাকসিন নিয়েও কিছুতেই মানুষ স্বাভাবিক হতে পারছে না। না, এ কেবল একজন বা দুজনের ক্ষেত্রে হচ্ছে না। এই সমস্যাকে অনেকেরই এবং একেই ‘কেভ সিন্ড্রোম’ বলেই চিহ্নিত করা হচ্ছে বিশ্বে।
কেভ সিন্ড্রোম। এই কিছুদিন আগেও এহেন শব্দ নিয়ে আলাদা করে মাথাব্যথা থাকার কোনও কারণ ছিল না। কিন্তু এখন দিব্যি হয়েছে। কেননা আমরা অজান্তেই হয়তো আক্রান্ত হয়ে পড়েছি কেভ সিন্ড্রোমে। কীভাবে? সেটা একটু খতিয়ে শুনে নেওয়া যাক।
আরও শুনুন: Selfie তোলার রকম দেখেই বোঝা যাবে আপনার ধরনধারণ! কীভাবে?
কোভিডের দৌলতে আমাদের চারপাশে সর্বক্ষণ যা ঘুরে বেড়াচ্ছে তা হল ভয়। এই আক্রান্ত হয়ে পড়ছি না তো! কারও ছোঁয়া লেগে যাচ্ছে না তো! এরকম নানাবিধ ভয় আমাদের সর্বক্ষণ কাঁটা করে রেখেছে। তা অমূলক নয়। কোভিডের মতো মারাত্মক অসুখ মানুষের মন থেকে সব সাহস যেন মুছে নিয়েছে। কিছু কিছু জিনিস এখন অবধারিত হয়ে গিয়েছে আমাদের জীবনে। এবং তা জরুরিও বটে। যেমন, মাস্ক পরা, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনটেন করা। হাত স্যানিটাইজ করা। বাইরে থেকে ঘরে এলে নিজেকে পরিষ্কার করা অর্থাৎ ভালোভাবে স্নান করা ইত্যাদি। আর তার সঙ্গেই জুড়ে আছে সর্বক্ষণের ভয়।
আরও শুনুন: একেই বলে স্বাস্থ্যসচেতন! মাস্ক কুড়িয়ে পেয়ে পরেও ফেলল বাঁদর, তাজ্জব নেটদুনিয়া
দেখা যাচ্ছে, এই ভয়ের কারণেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও মানুষ স্বাভাবিক জীবনে কিছুতেই ফিরতে পারছে না। যে মানুষ একে অন্যের সঙ্গে মিলেমিশে আড্ডা-হই হুল্লোড় না করে থাকতে পারত না, তিনিই এখন একাকী থাকা প্রেফার করছেন। এক তো ভয়। নতুন করে যাতে কিছু না হয়, সেই ভাবনা থেকেই মানুষ নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখছে। দ্বিতীয়ত এই যে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা এ তো আগে মানুষের রুটিনে ছিল না। বর্তমানে লকডাউন ও আইসোলেশনের ফলে মানুষ তা আয়ত্ত করেছে। এবং সেই সঙ্গে এর ভিতরে কিছু পজিটিভ বা সদর্থক দিকও দেখতে পেয়েছে। মানুষ নিজেকে ধীরে ধীরে সেই অভ্যেসের মধ্যে বা বলা ভালো কমফোর্ট জোনের মধ্যে নিজেকে ঢুকিয়ে নিয়েছে। আর তা থেকে বেরোতে তাই এখন তারা একেবারেই নারাজ। একেই বলা হচ্ছে ‘কেভ সিন্ড্রোম’।
বাকিটা শুনুন প্লে-বাটন ক্লিক করে।