যৌন মিলনের হার হিসেব করে তৈরি করা হয়েছিল তালিকা। সেই হিসেবে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে কোন দেশ, জানাল এক সমীক্ষা। এমনকি কোন দেশের মানুষের যৌন অভ্যাস কেমন, জানানো হল তাও। ঠিক কী জানিয়েছে ওই সমীক্ষা? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
যৌন সঙ্গমের ক্ষেত্রে একেকজন মানুষের অভ্যাস একেকরকম। কেউ একমুখী সম্পর্কে বিশ্বাসী, তো কেউ আবার একই সময়ে একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে আপত্তি করেন না। দেখা যায়, একেক দেশের মানুষের মধ্যে গড়ে একেকরকম প্রবণতা বেশি দেখা যায়। কোন দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি যৌন মিলনে লিপ্ত হন, কাদের যৌন অভ্যাসই বা কেমন, এই সবকিছু নিয়েই সমীক্ষা করেছিল এক সংস্থা। আর সেই সমীক্ষাতেই উঠে এসেছে বেশ কিছু চমকে দেওয়া তথ্য।
আরও শুনুন: পর্দায় মাতেন উদ্দাম শরীরী প্রেমে, আর বাস্তবে? গোপন কথা ফাঁস করলেন পর্ন তারকা
সমীক্ষায় জানা যাচ্ছে, সঙ্গমের হারে সবচেয়ে এগিয়ে গ্রিস। গ্রিসের ৮৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ সপ্তাহে অন্তত একবার যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন। বিশ্বের যে কোনও দেশের তুলনায় এই হার অনেক বেশি। তবে মিলন হলেই যে তা কাঙ্ক্ষিত তৃপ্তি দেবে তেমনটা তো নয়। চিনে যেমন ৭৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্করা পৌঁছতেই পারেন না চরম মুহূর্তে। আবার ব্রাজিলের প্রায় ৪৪ শতাংশ মহিলা অর্গাজম না হওয়ার কথা লুকোন। সমীক্ষা অনুযায়ী, অর্গাজমের হারের নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে নরওয়ে। ২৬টি দেশের প্রায় ৩০,০০০ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছিল এক কন্ডোম প্রস্তুতকারক সংস্থা। আর তার ভিত্তিতেই এই ফলাফল জানিয়েছে তারা। ভারতে যৌন মিলনের ক্ষেত্রে জানা গিয়েছে, এ দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ যৌনতার সময়ে কোনোরকম প্রোটেকশনের ধার ধারেন না। অধিকাংশের বক্তব্য, কন্ডোম ব্যবহার করলে একে অপরের যথেষ্ট কাছে আসা যায় না। কিছুদিন আগেই যে জনসংখ্যার বিচারে বিশ্বের বাকি দেশগুলিকে ছাড়িয়ে গিয়েছে ভারত, এই প্রবণতা তার অন্যতম কারণ হতেই পারে।
আরও শুনুন: ভক্তের তুলিতে ধরা দেবেন নগ্ন হয়ে… শখের জেরে কী ঘটেছিল পর্ন তারকার সঙ্গে?
এদিকে সমীক্ষা বলছে, আমেরিকায় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। ৯ জনের মধ্যে ১ জনের একই সময়ে একাধিক সম্পর্ক থাকে। একসঙ্গে দু’জনের সঙ্গে মিলিত হতেও উৎসাহী সে দেশের বহু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। ইটালির ৮০ শতাংশ মানুষের আবার ঝোঁক ওরাল সেক্সের প্রতি। নানা দেশের মানুষের মিলনের হার তুলনা করার পাশাপাশি এমন সব যৌন অভ্যাসের কথাও ফাঁস করেছে ওই সমীক্ষা।