‘অগ্নিপথ’ বিরোধিতায় সরব মুখ্যমন্ত্রী। পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারিত মানিক ভট্টাচার্য। নূপুর শর্মা ইস্যুতে নিন্দাপ্রস্তাব পাশ বিধানসভায়। সরকারি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন আদালতের। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। নতুন মামলায় ফের গ্রেপ্তার রোদ্দুর রায়।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. ‘অগ্নিপথ’ বিরোধিতার আঁচ এসে পড়ল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও। এদিন বিধানসভায় অগ্নিপথের বিরোধিতায় গর্জে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ”এই প্রকল্প তো আর্মি ডিপার্টমেন্ট থেকে ঘোষণা হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক করেছে। অগ্নিবীর তৈরির নামে আসলে বিজেপির ক্যাডার তৈরি করা হবে। চার বছর পর চাকরি চলে গেলে তোমাদের বাড়ির লোকেরও চাকরি চলে যাবে। কীসের অগ্নিপথ? আমি কারও চাকরি খেতে দেব না।” তিনি আরও বলেন, ”মুখরক্ষার জন্য সেনাকে সামনে আনা হয়েছে। দেশে কিছু বিজেপির গুন্ডা তৈরি করার জন্যে চার বছরের জন্যে বিজেপি ললিপপ দেখাচ্ছে। এটা ডাকাতি ছাড়া আর কিছু না।” তাঁর এই মন্তব্যের পরই নিন্দায় সরব হন বিজেপি বিধায়করা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ”মুখ্যমন্ত্রী সেনাবাহিনীর নিন্দা করছেন, তা মেনে নেওয়া যায় না।” তাঁর নেতৃত্বেই ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়কেরা। এদিকে অগ্নিপথ নিয়ে বিতর্কের জেরে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অগ্নিবীরদের নিয়ে মন্তব্য করলে গিয়ে কৈলাশ বলেছিলেন, ‘যদি বিজেপির অফিসে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করতে হয়, তাহলে অগ্নিবীরদেরই আগে সুযোগ দেওয়া হবে।” এই মন্তব্যেরই জবাব দিয়ে ত্রিপুরা থেকে অভিষেক বলেন, ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। নিন্দা করার ভাষা নেই। বিজেপির যদি সেনার প্রতি সম্মান থাকে, ভালবাসা থাকে তবে অবিলম্বে এসব নেতাদের বহিষ্কার করা উচিত।’ যদিও তীব্র বিতর্কের আবহেই সোমবার অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের প্রথম বিজ্ঞপ্তি জারি করল সেনাবাহিনী। ২১ জুন ও ২৪ জুন যথাক্রমে নৌসেনা ও বায়ুসেনার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। নাম নথিভুক্তকরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী জুলাই মাস থেকে।
2. প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির জের। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারিত ড. মানিক ভট্টাচার্য। সোমবার এই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুর দু’টোর মধ্যে তাঁকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু আসল নথি চেয়েছিল আদালত। অভিযোগ, সেই নথি তো পেশ করেইনি পর্ষদ, উলটে আদালতকে ভুল পথে চালনা করা হয়েছে। যার সম্পূর্ণ দায় মানিক ভট্টাচার্যের, এমনটাই মনে করছে আদালত। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে অপসারণের পাশাপাশি, আদালতে পেশ করা নথি দিল্লিতে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্যও পাঠানো হয়েছে। আপাতত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী। তবে এই পদে অন্য কাউকে নিয়োগ করতে পারবে রাজ্য সরকার, কিন্তু কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি রাজ্যের তরফে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।