প্রতিদিনের অভ্যাস মতো প্রেমিককে ভিডিও কল করেছিলেন। কিন্তু এদিন ফোনের ওপারে দেখতে পেলেন অন্য এক মহিলার মুখ। ব্যস, মুহূর্তের মধ্যে ভয়ানক রেগে গেলেন প্রেমিকা। গভীর রাতেই হাজির হলেন প্রেমিকের বাড়ি। তারপর রাগের মাথায় আগুন ধরিয়ে দিলেন নিজেরই প্রেমিকের বাড়িতে। শুধু কি সন্দেহের বশেই কি এমন মারাত্মক কাজ করলেন তিনি? আসুন, শুনে নিই।
গভীর রাতে প্রেমিককে ভিডিও কল করেছিলেন প্রেমালাপ সারবেন বলে। কিন্তু ফোনের ওপারে ভেসে উঠল অন্য মহিলার মুখ। এত রাতে প্রেমিকের বাড়িতে অন্য মহিলা! রেগে গিয়ে নিজেই হাজির হলেন সেখানে। তারপর রাগের মাথায় আগুনই ধরিয়ে দিলেন ঘরে।
আরও শুনুন: বিছানায় বসে যুবকেরা মগ্ন উরফি জাভেদে, তরুণদের মোক্ষম খোঁচা চেতন ভগতের
ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস শহরে। সেখানকার বাসিন্দা সেনাইদা মারিয়া সতো-কে ইতিমধ্যেই পুলিশ অন্যের সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। বছর ২৩-র এই মহিলা রাগের মাথায় তাঁর প্রেমিকের বড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। এছাড়াও প্রেমিকের বাড়ি থেকে বেশ কিছু বহুমূল্য সামগ্রী চুরির অভিযোগও তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, নিতান্তই রাগের মাথায় এমন কাজ করেছেন সতো। গভীর রাতে প্রেমিকের ফোনে অন্য মহিলার মুখ দেখেই বেজায় চটে যান তিনি। মহিলার পরিচয় না জেনেই ভেবে নেন তাঁর প্রেমিক নিশ্চয়ই তাঁকে ঠকাচ্ছেন। তাই রাগের বশে প্রেমিকের বাড়ি পৌঁছন তিনি। সেখানে গিয়ে সটান বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়েন। তারপর বসার ঘরে থাকা সোফায় আগুন ধরিয়ে দেন। এখানেই ক্ষান্ত হননি। সেই আগুনের ভিডিও করে প্রেমিককে পাঠিয়েও দেন তিনি। কিন্তু কিছুক্ষনের মধ্যেই আগুন লাগার বিষয়টি বুঝতে পারেন ওই বাড়ির মালিক। তিনি সঙ্গে সঙ্গে দমকল ও পুলিশে খবর পাঠান। দমকলের চেষ্টায় আগুন নেভানো সম্ভব হলেও ততক্ষণে বহু দামী আসবাব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। মালিক জানান প্রায় ৪১ লক্ষ টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে এই অগ্নিকাণ্ডে। স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তের মাধ্যমেই সব ঘটনা সামনে আসে। মহিলার পরিচয় জানার পর তাঁকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু তিনি এত রাগ যে সন্দেহের বশে করেছিলেন তা আসলে তাঁর মনের ভুল ছিল। মহিলার প্রেমিক পুলিশকে জানায় ভিডিও কলের অন্য মহিলাটি তাঁরই এক আত্মীয়। তিনি অন্য কারও সঙ্গেই সম্পর্কে জড়াননি।