মাউন্ড এভারেস্ট চড়েছেন। দেশের পতাকা হাতে ছবি তুলেছেন। এমন নজির বেশ কয়েকজন ভারতীয় পর্বতারোহীর রয়েছে। তবে পরপর দুবার এভারেস্ট চড়া মোটেও সহজ ব্যাপার নয়। তাও মাত্র ১ সপ্তাহের মধ্যে! অথচ সেই রেকর্ড গড়েছিলেন এক ভারতীয় মহিলা। জানেন তাঁর পরিচয়? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
নারীকে আপন ভাগ্য জয় করার অধিকারও ছিনিয়ে নিতে হয়। কেউ তা পারেন, কেউ পারেন না। যাঁরা পারেন, তাঁদের জীবনই একসময় হয়ে ওঠে ‘লার্জার দ্যান লাইফ’। কখনও সেই জীবনের গল্প জায়গা করে নেয় সিনেমায়। কখনও সেটুকুও হয় না। তবে এঁরা সকলেই সুপার উওম্যান। ঠিক যেমন অন্সু জামসেনপা (Anshu Jamsenpa)।
:আরও শুনুন:
‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রশংসা করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী, জানেন কে এই পূর্ণা মালাবত?
পেশা আর নেশা বলতে পাহাড়ে চড়া। স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য পর্বতারোহীদের মতো অন্সু-রও স্বপ্ন ছিল এভারেস্ট জয়। কিন্তু ভাবলেই তো আর হল না, তার জন্য দরকার কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়। শত চেষ্টা করেও লক্ষ্যপূরণ করতে পারেন না অনেকে। তবে অন্সু পেরেছেন। একবার নয়, পরপর দুবার এভারেস্ট চড়েছেন তিনি। বিশ্বের প্রথম মহিলা হিসাবে এই রেকর্ড ভরেছেন নিজের ঝুলিতে। তাও মাত্র ১ সপ্তাহের ব্যবধানে দুবার শৃঙ্গজয় করেছিলেন অন্সু। কী ভাবছেন এই জয়ের যাত্রাপথ ভীষণ সহজ ছিল?
:আরও শুনুন:
যোগাযোগ ছিন্ন হলে হারিয়ে যাবে গ্রাম, বরফঘেরা মৃত্যপুরীতে চিঠি পৌঁছে দেন মহিলা ‘রানার’
একেবারেই না। বরং অন্য অনেকের চাইতে অন্সুর পক্ষে এক কাজ করা ছিল রীতিমতো কঠিন বিষয়। কারণ যে সময় তিনি পর্বতারোহণ করছেন, ততদিনে তিনি দুই সন্তানের মা। তাদের বাড়িতে রেখে জীবন হাতে করে এভারেস্ট চড়া কতটা কঠিন হতে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সমাজের চাপ তো বটেই, নিজেকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত করাও ছিল কঠিন। কিন্তু দাঁতে দাঁত চেপে সবটা সহ্য করেন অন্সু। ২০১১ সালে প্রথমবার এভারেস্ট জয় করেন। সেবার ১০ দিনের মধ্যে পরপর দুবার শৃঙ্গজয় করেছিলেন অন্সু। নিঃসন্দেহে রেকর্ড। তবে তাতেও মন ভরেনি অন্সুর। ২০১৭ সালে আবার রওনা দেন এভারেস্টের উদ্দেশে। এবারও পরপর দুবার শৃঙ্গজয় করেন। তবে আর ১০ দিন নয়, মাত্র ৫দিনের ব্যবধানে। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। দীর্ঘদিন এই নিয়ে চর্চা চলেছে। এমন ঘটনা যে সত্যিই নজিরবিহীন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যেখানে নিজেদের অধিকারটুকু বুঝে নিতেও প্রতি মুহূর্তে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে হয় মেয়েদের, সেখানে অন্সুর এই সংগ্রাম দৃষ্ঠান্ত হয়ে থেকে যাবে চিরকাল।