ঋতুকালীন ছুটি। প্রয়োজন সকল কর্মরতারই। কিন্তু চাইলেই বা তা পাচ্ছে কে! আর দিচ্ছেই বা কে! বিশেষ শারীরিক ও মানসিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গেলেও ঋতুকালে ছুটি যে মিলবে, এতদিন এমনটা ভরসা পাননি কর্মরতারা। তবে দিন বদলেছে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি এই ছুটির বিষয়টি শুনবে শীর্ষ আদালত। বলা যায়, ঋতুকালীন ছুটি যে অধিকার, তা অর্জনের লক্ষ্যে অনেকটাই এগোল ভারতীয় নারীরা। আলোচনায় চৈতালী বক্সী।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। একটি উল্লেখযোগ্য দিন ভারতীয় কর্মরত মহিলাদের কাছে। অবশ্য উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরাও রয়েছে তাঁদের সঙ্গে। তাঁদের আবেদন শুনতে রাজি হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। মেন্সট্রুয়েশন লিভ বা ঋতুকালীন ছুটি লাগু করার আবেদন। কেউ কেউ হয়তো বলবেন, নারীবাদ নিয়ে যাঁরা সচেতন, তাঁরা আবার এ সুবিধা চাইবেন কেন! সে তর্ক আলাদা। তবে নারী এখন শরীরে-মনে নিজেকে পুরুষের সমকক্ষ বলে দাবি করে না। শারীরিক বিশেষত্বগুলিকে নিয়েই সে এগিয়ে যেতে চায় নিজের মতো করে, নিজের ছন্দে। আর তাই ঋতুকালীন ছুটি যে তার প্রাপ্য, সেই অধিকার অর্জনের লড়াইয়ে নেমেছে সে। বিহার আর কেরলের মেয়েরা এই সুবিধা পান। তবে তা তো সারা দেশের কর্মরতাদের জন্যই বহাল হওয়া জরুরি। এই অধিকার নারীর মৌলিক অধিকারের পর্যায়ভুক্তই হওয়া উচিত। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আগে, দেশের প্রধান বিচারপতির ঋতুকালীন ছুটির আবেদন শুনতে চাওয়া, তাই নিঃসন্দেহে এ দেশের প্রাপ্তবয়স্কাদের জন্য সুখবরই বলা যায়।