দাম্পত্য যদি শেষমেশ গিয়ে ঠেকে ডিভোর্সে, তবে অনিবার্যভাবেই আসে অ্যালিমনি তথা খোরপোষের প্রসঙ্গ। যে সম্পর্ক আর থাকছে না, সেখানে এমন কোনও নির্ভরশীলতা থাকা উচিত নাকি অনুচিত, এই প্রশ্ন ওঠে বারবারই। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গেই একটি স্পষ্ট অবস্থানে দাঁড়ালেন ‘ফ্যামিলিম্যান’ ওয়েব সিরিজ খ্যাত দক্ষিণী অভিনেত্রী সামান্থা প্রভু।
সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন দক্ষিণী অভিনয়জগতের পরিচিত মুখ সামান্থা প্রভু এবং নাগাচৈতন্য। ২০১৭ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন তাঁরা। চার বছর পর সোশাল মিডিয়াতে যৌথভাবে বিবৃতি দিয়ে তাঁরা জানালেন, আর দম্পতি থাকছেন না তাঁরা। তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন বলিউড নায়িকা কঙ্গনা রানাউত। আমির খানকে বলিউডের ‘ডিভোর্স এক্সপার্ট’ বলে সম্বোধন করে তিনি বলেছেন, আমির খানের শলাপরামর্শেই এই কাজ করেছেন নাগাচৈতন্য। কিন্তু সে কথার কোনও সমর্থন পাওয়া যায়নি প্রাক্তন তারকা দম্পতির কাছ থেকে। একে অন্যের দিকে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির বদলে বরং দুজনের এক দশকের বন্ধুত্বকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন দুই তারকা। জানিয়েছেন, আপাতত সামান্য নিভৃতিই তাঁদের কাম্য, যাতে তাঁরা এই নতুন তৈরি হওয়া পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন।
আরও শুনুন: কীভাবে রুখবেন Domestic Violence? জেনে নিন কী সুরক্ষা দিতে পারে ভারতীয় আইন
তবে তাঁরা ব্যক্তিগত জীবনকে আড়ালে রাখতে চাইলেও সবার নজর সেখানে ঘুরছেই। আর তার ফলেই জানা গেল একটি চমকপ্রদ তথ্য। জানা গিয়েছে, বিচ্ছেদ পাকা করার জন্য সামান্থাকে ২০০ কোটি টাকা খোরপোশ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব পুরোপুরিই প্রত্যাখ্যান করেছেন অভিনেত্রী। একে তো তিনি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী। পাশাপাশি সামান্থা জানিয়েছেন, এই সম্পর্ক থেকে কেবল ভালবাসা এবং পাশে থাকা দাবি করেছিলেন তিনি। আর তা যখন পাননি, তখন অন্য কিছুতে তাঁর আর প্রয়োজন নেই।
আরও শুনুন: World Breastfeeding Week: সন্তানকে প্রকাশ্যে স্তন্যদান, ছবি পোস্ট করে TABOO ভাঙার ডাক অভিনেত্রীর
সামান্থার এই সিদ্ধান্তই সামনে নিয়ে এল একটি পুরনো দ্বন্দ্বকে। ‘ডিভোর্স’ শব্দটি এখন অতি পরিচিত। অসুখী দাম্পত্য থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ। কিন্তু সম্পর্ক ছিঁড়লেও কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়। তার মধ্যে প্রথম প্রশ্নটিই এই, মিটমাট হবে কী মূল্যে। আইন অনুযায়ী, যাঁর সম্পত্তি বেশি, তিনি বাধ্য থাকেন স্ত্রীকে খোরপোশ দিতে। ভারতীয় সমাজে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই বেশির দলে থাকেন পুরুষেরা। অর্থাৎ স্বামী খোরপোশ দেন স্ত্রীকে, এককালীন অর্থমূল্যে, কিংবা মাসে মাসে নির্দিষ্ট টাকা দিয়ে।
শুনে নিন বাকি অংশ।