এ যেন উলটপুরাণ। এক তরুণী, সুন্দরী, ঘুরে বেড়াচ্ছেন একমুখ দাড়ি নিয়ে। চিবুক থেকে গলার অংশে লম্বা দাড়ি, তাঁকে একেবারে অন্যরকম লুক দিয়েছে। বলার কথা হল, এই বিশেষ রূপটি তিনি লোকাননি। বরং তাই নিয়েই সামনে এসেছেন। আর সে জন্য সাধুবাদও কুড়িয়েছেন বিস্তর। আসুন শুনে নিই তাঁর কাহিনি।
‘বডি হেয়ার’ নিয়ে আজও বেশিরভাগ মহিলায় লজ্জা, অস্বস্তিতে পড়েন। আর সেই অস্তত্বিটুকু মূলধন করেই বাজার জুড়ে রমরমিয়ে চলে নানা ব্যবসা। হেয়ার রিমুভাল ক্রিম, নানা ঘরোয়া পদ্ধতি তো আছেই, এ ছাড়া বড় বড় পার্লারে এই বাবদ ট্রিটমেন্টের খরচ কিন্তু কম নয়। তা সত্ত্বেও মহিলারা তা করান। একদিকে সৌন্দর্যের যে মাপকাঠি পুরুষনিয়ন্ত্রিত সমাজে তৈরি হয়ে গেছে, তাই-ই কোথাও বয়ে বেড়ানো অবচেতন জুড়ে। আবার বরাবরের অভ্যেস ভেঙে বেরোতে না-পারা। এভাবেই চলতে থাকে। মোদ্দা কথা, দু-একজন পারলেও, বেশিরভাগ মহিলারাই বডি হেয়ার নিয়ে সামনে আসতে পারেন না, বরং তা বিদেয় করতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।
আরও শুনুন: পুরুষাঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য কত? যৌনতা নিয়ে গবেষণায় অবশেষে মিলল উত্তর
এই যখন গড় মহিলার গল্প, তখন একেবারে উলটো পথে হেঁটেছেন এক তরুণী। তাঁর মুখে গজিয়েছে দাড়ি। একেবারে পুরুষের মতোই। আর তা নিয়েই তিনি এসেছেন প্রকাশ্যে। এ নিয়ে যে লজ্জা থাকতে পারে, এহেন ইনহিবিশন কাটিয়ে নিজের ছবিও পোস্ট করেছেন অনলাইনে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যদিও স্বনামে ধরা দেননি তিনি। মার্কিন মুলুকের এই তরুণী পেশায় সোশ্যাল মিডিয়া স্টার। বিশেষ জনপ্রিয় সাইটে তাঁর ছবি ও অন্যান্য কন্টেন্টের দর আকাশছোঁয়া। অনুগামীর সংখ্যাও বহু। তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত কথাও বলেন তিনি। সেখানেই এক প্রশ্নোত্তর পর্বে তাঁর অনুগামী এক মহিলা জানিয়েছেন, দাড়ি নিয়ে তিনি নিজেই বেশ লজ্জিত ছিলেন। ভয়ও পেয়েছিলেন। তাই দাড়ি বাড়তে দেননি তিনি। তাই এই তরুণী স্টারকে তিনি প্রশ্ন করেন, দাড়ি বাড়ানোর সাহস তিনি কোত্থেকে পেলেন। তরুণী জানিয়েছেন, গোড়ার দিকে আত্মবিশ্বাসে যে ঘাটতি হয়নি, এমনটা তিনি বলছেন না। নিজের দাড়ি না কেটে রেখে দেবেন, এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে অনেকটা সময়ই লেগেছিল তাঁর। শেষমেশ মনের জোরেই যা স্বাভাবিক, সেটাকেই সহজ ভাবে গ্রহণ করেছেন তিনি। এবং এখন তার জন্য তিনি খুশিই।
বাকি অংশ শুনে নিন।