জাতিগত হিংসা ছড়াচ্ছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। এই দাবিতে বিতর্ক ঘনিয়ে ওঠে ছবিটিকে ঘিরে। বাংলাতে সিনেমাটির প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণাও করেছিল। পরে সুপ্রিম রায়ে তা বদলে যায়। তবে সিনেমাটিকে প্রথম থেকেই সমর্থন জানিয়েছে দেশের অধিকাংশ হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। একই সুর বিজেপির গলাতেও। এবার সরাসরি এই সিনেমার প্রসঙ্গে, হিন্দুদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিলেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী। ঠিক কী বলেছেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
এখনও থামেনি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ বিতর্ক। কেউ বলছেন জাতিগত হিংসা ছড়াচ্ছে এই সিনেমা। আবার কারও দাবি চরম বাস্তব দেখানো হয়েছে এখানে। এবার সেই সুরেই সুর মেলালেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী। তাঁর সাফ দাবি, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমাটিতে প্রকৃত সত্যই তুলে ধরা হয়েছে।
আরও শুনুন: ‘আইসিস-এর কাজকে কেন সমর্থন?’, কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধকরণে প্রশ্ন অনুরাগ ঠাকুরের
প্রথম থেকেই ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমাটিকে যথাযথ সমর্থন জানিয়ে এসেছে দেশে হিন্দু সংগঠনগুলো। একইসঙ্গে বিজেপির তরফেও সিনেমাটিকে পূর্ণ সমর্থন জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তো বটেই, তিনি ছাড়াও বহু বিজেপি নেতাই সিনেমাটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এবার সেই তালিকায় যোগ হল ধর্মগুরু ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর নাম। আগেও বিভিন্ন ইস্যুতে এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। সেই নিয়ে বিভিন্ন মহলে যথেষ্ট চর্চাও হয়েছে। মূলত মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্যের জন্যই সামনে আসে তাঁর নাম। এবারও খানিকটা তেমনই মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে সরাসরি অন্য কোনও জাতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেননি। তাঁর সাফ দাবি, দেশের হিন্দুরা ঘুমোচ্ছে। আর এমন মন্তব্যের নেপথ্যে রয়েছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমাটির প্রসঙ্গ। তাঁর মতে, এই সিনেমায় যা দেখানো হয়েছে তার সবটাই সত্যি। তাই কঠিন বাস্তব মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। একইসঙ্গে হিন্দু মহিলাদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, এখনই সতর্ক না হলে সিনেমায় দেখানো গল্পের মতোই তাঁদের অবস্থা হবে। অর্থাৎ সিনেমায় যে ধর্মান্তকরণের বিষয়টি দেখানো হয়েছে, সেই ঘটনার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী।
আরও শুনুন: জোর করে মহিলার ধর্ম পরিবর্তন মুসলিম ব্যক্তির! অভিযোগ পেয়ে বিশেষ পদক্ষেপ আদালতের
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আশ্রম রয়েছে এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর। ভক্তের সংখ্যাও লক্ষাধিক। বিভিন্ন জায়গায় সভা করে সনাতন ধর্মের পাঠ শোনান তিনি। এমনই এক ধর্মসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র প্রসঙ্গ টেনেছেন তিনি। যদিও নিজের কথায় তিনি এ-ও উল্লেখ করেছেন যে, কাউকে প্ররোচিত করতে এই বক্তব্য তিনি রাখেননি। তাঁর উদ্দেশ্য স্রেফ হিন্দুদের জাগিয়ে তোলা। আগামীদিনে যেন কোনও হিন্দুর সঙ্গে অন্যায় না হয় তা নিশ্চিত করাই তাঁর আসল উদ্দেশ্য। বিশেষত ধর্মান্তকরণের মতো ঘটনার শিকার যেন কোনও হিন্দুকে না হতে হয়, বক্তব্যে তা স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন ধর্মগুরু।