বাংলা ভাষা জানেন ধোনি। এ কথা আজ অনেকেরই জানা। তবে, বাংলা জানার কারণে তিনি যে একবার বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মাথাব্যথার কারণ হয়েছিলেন, তা কে জানত! আসুন, সেই ঘটনা শুনে নেওয়া যাক।
মহেন্দ্র সিং ধোনি মানেই ক্ষুরধার ক্রিকেট-মস্তিষ্ক। স্ট্র্যাটেজিতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে তিনি ওস্তাদ। সাফল্যের খতিয়ান হোক কিংবা ক্রিকেটের ধারে বিপক্ষকে পরাস্ত করা- যেদিক থেকেই বিচার করা যাক না কেন, বলা যায়, ক্রিকেট-বিশ্বে সেরার সেরা অধিনায়কদের তালিকাতেই থাকবেন ধোনি। তবে, বাংলা ভাষা জানার কারণে তিনি যে একটি ম্যাচে সুবিধা পেয়েছিলেন, তা-ও কি ভাবা যায়! সম্প্রতি ধোনি নিজেই জানিয়েছেন সেই কথা।
বাংলা ধোনির মাতৃভাষা নয়। তবে, পেশাদার ক্রিকেটে যোগ দেওয়ার আগে রেলে চাকরি করতেন তিনি। সেই সূত্রি দীর্ঘদিন ছিলেন খড়্গপুরে। বাংলা ভাষা তাই তিনি দিব্যি জানেন। শুধু জানেন না, এক সময় গড়বড় করে বলতেও পারতেন। তবে দীর্ঘদিনের অনভ্যাসে সেই ধারে মরচে পড়েছে। কিন্তু বাংলা যে তিনি একেবারে ভুলে গিয়েছেন তা নয়। আশেপাশে কেউ বাংলা বললে তিনি স্পষ্ট বুঝতে পারেন। এমনকী এখনও ভাঙা ভাঙা বাংলা বলতেও পারেন। আর তাঁর সেই বাংলা জানার কারণেই একবার বেজায় বিপাকে পড়েছিলেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা।
সেই সময় বাংলাদেশে খেলতে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। কোনও একটা ম্যাচে ব্যাট করছিলেন ধোনি। এখন, ক্রিজে ধোনি থাকা মানেই বাড়তি চাপ। তাঁর মতো ব্যাটার, বিশেষত ম্যাচ ফিনিশারকে থামানোর জন্য সর্বোতভাবে চেষ্টা করবে বিপক্ষ। বাংলাদেশও তাই-ই করছিল। নানারকম স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হচ্ছিল। পিছন থেকে উইকেটকিপার চিৎকার করে বোলারকে নির্দেশ দিচ্ছিলেন। কোথায় বল ফেললে ধোনি বেকায়দায় পড়বেন, তাই-ই বলাবলি করছিলেন তাঁরা। ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি যে ধোনি বাংলা জানেন। ধোনি তাঁদের কথা সবই বুঝতে পারছিলেন। তবে, একবারও বুঝতে দেননি সে কথা। ফল যা হওয়ার তাই-ই হয়েছিল। কোথায় কীভাবে বল পড়বে তা ধোনি আগে থেকেই জানতেন। আর এই পরিস্থিতিতে ধোনির ব্যাট যে কী করতে পারে, তা আর নতুন করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। একমাত্র ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই সকলে বুঝতে পারেন যে, ধোনি বাংলা জানেন। ততক্ষণে অবশ্য যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে।
MSD about Bengali language!😂😜
It’s time to learn Tamil Thala..#MSDhonipic.twitter.com/Fw2FW25Qu8— Hustler🦅 (@Hustler4CSK) October 30, 2023
শুধু বাংলা ভাষা জানা নয়, প্রতিপক্ষের চালের থেকে সব সময় যে এক পা এগিয়ে থাকতে হয়, যে কোনও ভালো অধিনায়কই তা জানেন। মজা করে এই অভিজ্ঞতার কথা বললেও, সকলেই বুঝতে পারেন, বাংলা জানা আর না-জানার ভান করা দুই-ই সেদিন ছিল তাঁর স্ট্র্যাটেজি। সাধে কি আর তিনি বিশ্বের সেরা ক্রিকেট-মস্তিষ্ক!