করোনা কাঁটায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, ভারত থেকে সরে গিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং ওমানে। এবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে প্রকাশিত হল একগুচ্ছ নতুন নিয়মনীতি। সেইসব নিয়মনীতি মেনেই হবে এবারের আইপিএল।
সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে আইপিএল-এর নতুন অধ্যায়। আর এবার মেনে চলতে হবে নানা করোনাকালীন নিয়মনীতি। খেলোয়াড়দের তো বটে, ক্রিকেটের সরঞ্জামও সে নিয়মের বাইরে নেই।
আরও শুনুন: Lionel Messi: শিল্পের শহরে এবার শিল্পীর পায়েই আঁকা হবে ফুটবলবিশ্বের নতুন ছবি
প্রথম নিয়মটি বাউন্ডারির বাইরে যাওয়া বলকে নিয়েই। এবার থেকে বল বাউন্ডারির চৌহদ্দি পেরোলেই, সেই বল জমা পড়বে ফোর্থ আম্পায়ারের কাছে। চতুর্থ আম্পায়ার সেই বলের বদলে তাঁর নিজের কাছে থাকা অন্য একটি বল ব্যবহার করতে দেবেন। তাহলে বাউন্ডারি পেরোনো বলটির কী হবে? সেটিকে অ্যালকোহল বেসড ওয়াইপ দিয়ে ভালো করে মুছে, ইউভি-সি দিয়ে স্ক্যান করে তারপর আবার খেলার উপযোগী করে মাঠে ফেরত দেওয়া হবে।
বল থেকে করোনা ছড়ানোর প্রবণতা অনেক বেশি বলে জানা যাচ্ছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সংক্রমণ নিয়ে কোনও ঢিলেমি দিতে চাইছে না। তাই এই বাড়তি সতর্কতা।
আরও শুনুন: Women Cricket : শুধু ধোনি-কোহলি! কেন মিতালী বা ঝুলন হওয়ার স্বপ্ন নেই ক্রিকেটবিশ্বে?
দর্শকদের বসার জায়গা নিয়েও রয়েছে নির্দেশিকা। স্টেডিয়ামের নিচের কোনও আসনে দর্শক বসবেন না। বিশেষত বাউন্ডারির ধারে কাছে একেবারেই থাকবে না দর্শকের উপস্থিতি। দর্শকদের বসার জায়গা শুরু হবে স্টেডিয়ামের উপরের দ্বিতীয় ধাপ থেকে।
আরও শুনুন: Rahul Dravid : কোন মন্ত্রে আজও দ্রাবিড় Mr. Dependable!
বল চকচকে করার জন্যও কোনওভাবেই থুতু দিয়ে বল ঘষা যাবে না। যদি কেউ অভ্যাসবশত ভুল করে এই কাজ করেনও, সেই বল বাতিল হবে, সেই সঙ্গে সেই দলকে, এবং ওই খেলোয়াড়কে বিশেষভাবে সতর্ক করা হবে। কিন্তু আবার যদি একই ভুল হয় তাহলে ব্যাটিং টিমকে পেনাল্টি দেওয়া হবে, পাঁচ রানের।
ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতিটি সদস্যদকে অবশ্যই থাকতে হবে বায়ো বাবল বা জৈব বলয়ের ঘেরাটোপে। পরপর তিনবার করোনা নেগেটিভ টেস্ট এবং অন্তত ছয়দিন আইসোলেশনে থাকার পর তবেই ঢোকা যাবে নির্ধারিত জৈব বলয়ে। ভারতের যে সব খেলোয়াড় এই মুহূর্ত ইংল্যান্ড সফরে রয়েছেন, তাঁদেরও একই শর্ত মানতে হবে। কিন্তু তাঁরা যদি জৈব বলয় থেকে আরেক জৈব বলয়ে ট্রান্সফার নেন, সে ক্ষেত্রে তাঁদের এতরকমের টেস্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে না।
কোনও খেলোয়াড় তাঁর ড্রিঙ্কস্, খাবার, জল বা অন্য পানীয়ের বোতল, টাওয়েল, মাঠের মধ্যে বা মাঠের বাইরে অন্য কারওর সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারবেন না। অতিরিক্ত খেলোয়াড় যিনি থাকবেন তিনি ড্রিঙ্কস হোল্ডারে করে মাঠের মধ্যে পানীয় নিয়ে যাবেন। যতজন খেলোয়াড় থাকবেন, তাঁদের প্রত্যেকের জন্য নির্দিষ্ট করা থাকবে পানীয়র বোতল। কেউ অন্য কারো বোতলে হাত দেবেন না। প্রতিটি বোতলের ওপর আলাদা করে লেখা থাকবে খেলোয়াড়ের নাম। সেই নির্দিষ্ট বোতলের জল বা পানীয় তাঁকে খেতে হবে। ফ্র্যানচাইজিগুলো খেলোয়াড়, টিমকে রাখার জন্য যে হোটেল ব্যবহার করবে, সেই হোটেলের ব্যবহার করা যাবেনা প্লেয়িং এরিয়া বা সুইমিং পুল। স্রেফ গলফ কোর্স ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রেও অন্তত চব্বিশ ঘণ্টা আগে গলফ কোর্স ব্যবহারের অনুমতি নিতে হবে। সেখানে দর্শক বা বাইরের মানুষ, একেবারেই নিষিদ্ধ। গলফ ক্লাবের বার, জিমন্যাসিয়াম, রেস্টুরেন্ট, লকার রুম ব্যবহার নিষিদ্ধ।
এক ভ্যেনু থেকে অন্য ভ্যেনু যাওয়ার ফ্লাইট ধরার অন্তত বাহাত্তর ঘণ্টা আগে প্রত্যেকেরই বাধ্যতামূলক আরটি-পিসিআর টেস্ট। যেমন আরটি-পিসিআর-এর আগে বাধ্যতামূলক প্রত্যেকের কোরেনন্টাইন বাস।
খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করতে যদি কোনও অতিথি বা তাঁদের পরিবারের লোকজন আসেন, তাহলে বায়ো বাবল থেকে বেরোনোর আগে চিফ মেডিক্যাল অফিসারের অনুমতি আবশ্যক। কিন্তু একবার যদি কেউ জৈব বলয়ের সুরক্ষা থেকে বেরোন তাহলে অন্তত ছয়দিন কোরেনন্টাইন, এবং রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই আবার ঢোকা যাবে জৈব বলয়ে।