সংসার কি আমাদের বেঁধে রাখে? সেই বাঁধন কেটে কি ঈশ্বরের কাছে পৌঁছানো সম্ভব? ঠাকুর রামকৃষ্ণ বলেন, সংসার ঈশ্বরলাভের পথে বাধা নয়। শুধু মনকে ঈশ্বর ভাবনায় রাঙিয়ে তুলতে হবে! শোনাচ্ছেন, সতীনাথ মুখোপাধ্যায়।
সংসার আমাদের বেঁধে বেঁধে রাখে। আত্মীয়তার বাঁধন, মায়ার বাঁধন, আরও কত না ডোরে আমরা বাঁধা পড়ে থাকি! আর সেই বাঁধনের ভিতর বসে আমাদের যেন সময়ই হয় না ঈশ্বরকে স্মরণ করার। আমাদের খাওয়ার পর ঘুম, আর ঘুমের পরে খাওয়া। এই করেই যেন সময় চলে যায়। কেউ কেউ তাই বলে থাকেন, সংসারে থেকে ঈশ্বরের সাধন হয় না। অনেকেই তা বিশ্বাসও করেন। তবে, আমাদের ঋষি, মনীষীরা বলে থাকেন, সংসারে থেকেও ঈশ্বরের সাধন হয়। বন্ধনের মাঝেও খুঁজে নেওয়া যায় মুক্তির আস্বাদ।
আরও শুনুন: Spiritual: শাস্ত্রমতে কখন সত্যের থেকে মিথ্যে হয়ে ওঠে শ্রেয়?
ঋষিকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাই তো বলেন,
বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি সে আমার নয়
অসংখ্য বন্ধন মাঝে মহানন্দময়
লভিব মুক্তির আস্বাদ…
ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণও যেন সেই কথাই আমাদের শিখিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন। ভারতীয় সাধনার দুই ধারা সদা প্রবহমান। একদিকে ত্যাগের ধারা। গৈরিকবেশে বৈরাগ্যের সাধন করে চলেছেন আমাদের যুগপুরুষগুণ। অন্যদিকে, গৃহী হয়েও সন্ন্যাসী হয়ে থাকার সাধনা।
এ সাধনা যেন তুলনায় কঠিন। কেননা এখানে বেশ থাকে গৃহীর মন হয় সন্ন্যাসীর। গৃহী হয়ে যা যা কর্তব্য সবই করতে হয়, অথচ মন পড়ে থাকে ঈশ্বরে।
কেমন করে তা সম্ভব? কীভাবে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় মনকে? একদিন ঠাকুর গল্পে গল্পে বোঝালেন সেই কথা।
আরও শুনুন: Spiritual: ফলের আশা না করেও কীভাবে কাজ করা যায়?
যেদিনের কথা, তার আগের দিন রাতে ঠাকুর একটু যাত্রা দেখেছেন। বিদ্যাসুন্দর পালা। যে ছোকরা মতো ছেলেটি বিদ্যা সেজেছিল, পরদিন সে এসেছে ঠাকুরের কাছে। ঠাকুর তো তাঁর অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বাড়ির খোঁজ নিচ্ছেন। সন্তান-সন্ততি কয়টি জানতে চাইছেন। এইসব কথার ফাঁকেই ঠাকুর ধরিয়ে দিলেন আসল কথাটি। বললেন, ‘তোমরা যেমন অনেক অভ্যাস করে গাইতে বাজাতে বা নাচতে শিখো, তেমন করেই ঈশ্বরেতে মনের যোগ অভ্যাস করতে হয়। পূজা, যপ, ধ্যান – এসব নিয়মিত অভ্যাস করতে হয়।’
তারপর আর কী বললেন ঠাকুর? শুনে নিন ক্লিক করে।