যুগপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণের উদার অমৃতকথা আমাদের পৌঁছে দেয় জীবনের সার্থকতায়। ঈশ্বরে মন রেখেই সাংসারিক কর্তব্যপালনের যে অমোঘ পথ তিনি দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন, তাই-ই আজও আমাদের পাথেয়। সেই কথাই উঠে এসেছে সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের ‘পরমপদকমলে’ গ্রন্থে। আসুন শুনে নিই সেই অমৃতপ্রসঙ্গ।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা: উদ্বোধন কার্যালয়
জীবন যত বড়ই হোক, মৃত্যু সাগরে তাকে লীন হতেই হবে। আর এই মৃত্যুই হল মানুষের শুভ কর্মপ্রেরণা। যেহেতু সময় অসীম নয়, তাই এর মধ্যেই কাজ শেষ করতে হবে। আর সে কাজ কী? তা ‘আমি’-র চেয়ে বড়। অর্থাৎ আবার সেই বড় আদর্শ আঁকড়ে ধরার কথা।
আরও শুনুন: পরমপদকমলে: আঁকড়ে ধরার মতো বিশ্বাস না থাকলে জীবন শূন্য, বলেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ
ঠাকুরের সেই দর্শন খুব প্রাঞ্জল ভাবে সকলের সামনে তুলে ধরেছেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিখ্যাত বই ‘পরমপদকমলে’-তে ‘পথ ও পথিক’ শীর্ষক অধ্যায়ে তিনি লিখেছেন অথর্ব বেদের ঋষির কথা,
“পৃথিবী শান্তিরন্তরিক্ষং শান্তিদ্যোঃ শান্তিরাপঃ শান্তি
রোষধয়ঃ শান্তির্বনস্পতয়ঃ শান্তির্বিশ্বে মে দেবাঃ শান্তিঃ
সর্বে মে দেবাঃ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিভিঃ।
তাভিঃ শান্তিভিঃ সর্বশান্তিভিঃ শময়াম্যহং যদিহ
ঘোরং যদিহ ক্রুরং যদিহ পাপং তচ্ছান্তং তচ্ছিবং
সর্বমেব শমস্ত নঃ ।।”
পৃথিবী শান্তি, অন্তরীক্ষ শান্তি, দ্যুলোক শান্তি, জলসমূহ শান্তি, ওষধিসমূহ শান্তি, বনস্পতিগণ শান্তি, বিশ্বদেবগণ শান্তি, সমস্ত দেবতারা শান্তি, শান্তি, শান্তি। সেইসব শান্তি দ্বারা যা এখানে ঘোর, যা এখানে ক্রূর, যা এখানে পাপ তা আমরা শান্ত করি; তা শান্ত হোক, তা কল্যাণময় হোক, সমস্তই আমাদের শুভ হোক।