চাকুরিজীবীদের সঞ্চয়ে কোপ। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার একধাক্কায় কমাল কেন্দ্র। ৪৪ বছর পর সর্বনিম্ন ইপিএফের সুদের হার। ফের ভোটের বাদ্যি। ১২ এপ্রিল রাজ্যের ২ কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সূচি জানাল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে লড়াইয়ের জমি তৈরি করতে রবিবার ‘পদার্পণ যাত্রা’ করছে আপ। দলের সব দায়িত্ব ছাড়তে পারে গান্ধী পরিবার। কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের আগে জোর গুঞ্জন। নির্বাচনের আগে মোহনবাগানে ধুন্ধুমার।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 11 মার্চ 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- বিধানসভায় পেশ রাজ্য বাজেট, করোনাকালে বাড়ল রাজ্যের আয়, প্রশংসা মমতার
আরও শুনুন: 10 মার্চ 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- উত্তরপ্রদেশ-সহ চার রাজ্যে গেরুয়া ঝড়, পাঞ্জাবে বাজিমাত কেজরিওয়ালের
বিস্তারিত খবর:
1. পাঁচ রাজ্যে বড় জয় পেয়েছে বিজেপি। তার পরই জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল বিরোধীরা। এমন আবহে ফের বড় কোপ পড়ল চাকুরিজীবীদের সঞ্চয়ে। একধাক্কায় এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার অনেকটা কমাল কেন্দ্র। এতদিন এই খাতে সুদ মিলত ৮.৫ শতাংশ হারে। ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষের জন্য এই সুদের হার কমিয়ে করা হল ৮.১ শতাংশ। যা ১৯৭৮ সালের পর সবচেয়ে কম।
সূত্রের খবর, শনিবার সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, করোনা কালে গত দু’বছর ইপিএফও-র সুদের হার ছিল ৮.৫০ শতাংশ। তবে এবারের সুদের হার নিসন্দেহে নজিরবিহীন হারে কমল।
পরিসংখ্যান বলছে, এর আগে ১৯৭৭-১৯৭৮ সালে সবচেয়ে কম ছিল ইপিএফও-র সুদের হার। সেই সময় সুদের হার দাঁড়িয়েছিল ৮ শতাংশ। তার পর থেকে কখনই এত কম হারে সুদ পাননি চাকুরিজীবীরা। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, ২০১৪ সালে কেন্দ্রে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নিম্নমুখী হয়েছে ইপিএফও-র সুদের হার। ২০১৩-২০১৪, ২০১৪-২০১৫ সালে ইপিএফওর সুদের হার ছিল ৮.৭৫ শতাংশ। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ৮.৮০ শতাংশ। তবে ২০১৭-র পর থেকে ৮.৬৫ শতাংশের উপর ওঠেনি ইপিএফওর সুদের হার। এবার তা আরও কমল। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “৪ রাজ্যে জেতার পর এটা মোদির উপহার। কেন্দ্রের অমানবিক, বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত।”
উল্লেখ্য, এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে প্রায় ৬ কোটি চাকুরিজীবী অর্থ গচ্ছিত রাখেন। সুদের হার কমায় তাঁদের সঞ্চয়ের পরিমাণ অনেকটাই কমবে। এবছর সেন্ট্রাল বোর্ড অব ট্রাস্টির বৈঠকের আগেই ইঙ্গিত মিলেছিল সুদ কমিয়ে আগের হারে করা হতে পারে। আবার কেউ কেউ বলছিলেন, না এবছর সুদ অপরিবর্তিত রাখা হতে পারে। শেষপর্যন্ত, সুদ কমানোর সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিল ট্রাস্টি।
2. মাস পেরলেই ফের ভোট রাজ্যে। বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র ও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, আগামী ১২ এপ্রিল এই দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। ফলপ্রকাশ ১৬ এপ্রিল। এ ছাড়া ১২ তারিখ উপনির্বাচন হবে ছত্তিশগড়, বিহার, মহারাষ্ট্রের মোট তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে। এই সমস্ত জায়গায় শনিবার থেকেই লাগু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি।
বিধানসভা ভোটে বালিগঞ্জ আসনে জয়ের পর রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কিন্তু ২০২১-এর নভেম্বরে মৃত্যু হয় তাঁর। সেখানেই নতুন করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে ১২ তারিখ ফের ভোটের লাইনে দাঁড়াবেন বালিগঞ্জবাসী। এদিকে, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয়বার সাংসদ হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে টালিগঞ্জ আসনে পরাস্ত হন গায়ক-সাংসদ। ফলাফলের মাস কয়েক পর সকলকে চমকে দিকে বিজেপি ছাড়েন বাবুল। গত সেপ্টেম্বরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের হাত ধরে শাসকদলে যোগ দেন তিনি। তবে পূর্ণসময়ের সাংসদ পেতে আসানসোল কেন্দ্রে হতে চলেছে উপনির্বাচন।
নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শনিবার এই ঘোষণার পর এদিন থেকেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ২৪ মার্চ মনোনয়ন পেশের শেষ দিন। আর প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৮ মার্চ। ইতিমধ্যেই আসানসোল, বালিগঞ্জ-সহ উপনির্বাচনের ৫ কেন্দ্রে শুরু হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।