ইমোজি বা ইমোটিকন এখন আলাদা একটা ভাষাই বলা যায়। অনেক কথার বদলে ছোট্ট একটা সংকেত পাঠানো। তাতেই যা বোঝানোর তা হয়ে যায়। অল্পে কাজ সারা হলে আর বিস্তর কথা বাড়িয়ে কাজ কী! গোটা বিশ্ব জুড়েই তাই কথোপকথনের সময় ইমোটিকনের ব্যবহার বেড়েছে ব্যাপক হারে। এমনিতে ২০২১ বেশ ঘটনাবহুল। অতিমারি থেকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় কত কিছু না একসঙ্গে ঘটেছে এ বছর। তা এবছর সারা পৃথিবীর মানুষ কোন ইমোটিকন বেশি ব্যবহার করেছেন জানেন? আসুন শুনে নিই।
চিঠিপত্তরের যুগ আমরা পেরিয়ে এসেছি আগেই। কথোপকথনের সিংহভাগ এখন শুধুই সোশ্যাল মিডিয়াতেই। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপেই যেন বিশ্বদর্শন হয়ে যায় আমাদের। তার উপর গত দু-বছর ধরে অতিমারী পর্ব যেন সেই প্রযুক্তিকেই আমাদের দৈনন্দিনের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে। স্কুল-কলেজ থেকে অফিস-কাছারি সবটাতেই ভরসা সেই প্রযুক্তি। আর করোনার চক্করে তো দেখাশোনা-মেলামেশা-সবটাই বালাই। অগত্যা হাতে রইল সোশ্যালমিডিয়া, আর কথাবার্তা জুড়ে থাকল ইমোটকনস। পৃথিবীর অনলাইন জনসংখ্যার প্রায় ৯২ শতাংশই নাকি ইমোজি বা ইমোটিকন ব্যবহারে সিদ্ধহস্ত। তবে তাদের সমাজেও কিন্তু কারও কারও ঠাঁই বেশ উপরের দিকেই। সেরকমটাই জানাচ্ছে ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম সংস্থার একটি সমীক্ষা। ২০২১ সালে কোন ইমোজিটি আছে মানুষের পছন্দের শীর্ষে? কোনটিকেই বা দূরে ঠেলে দিলেন ব্যবহারকারীরা?
আরও শুনুন: টুক করে পাঠিয়ে তো দেন Emoji, মানে না জানলে কিন্তু পুরোটাই Emotional Atyachar!
দেখা গিয়েছে, তালিকার শীর্ষে রয়েছে একটি বিশেষ ইমোজি। আনন্দাশ্রু বা খুশিতে চোখে জল এসে যাওয়া বোঝাতে আমরা যেটি ব্যবহার করি। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, কোনটির কথা বলছি। যে বছরটা অতিমারি আর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত, সেবছর এই ইমোজিটির জনপ্রিয়তায় প্রথম হওয়া বেশ আশ্চর্যের বিষয়। আরও মজার যে, সেই যে ২০১৭ সাল নাগাদ ইমোজিটি ফার্স্ট বয় হয়েছে, সেখান থেকে তাকে কেউ সরাতেই পারছে না।
জনপ্রিয়তায় এর পরেই আছে কিন্তু টুকটুকে লাল হৃদয়খানা। যেটাকে আমরা লাভ সাইন বলে থাকি। সেটাই রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে চোখে জল মুখে হাসিরই পড়ে যাওয়া ভার্সনটি। যাকে বলা যেতে পারে হেসে গড়াগড়ি খাওয়া। আর চতুর্থ স্থানে রয়েছে থাম্বস আপ ইমোজিটি। বাঙালির কাঁচকলা দেখানোর থেকে এর অর্থ কিন্তু একেবারেই আলাদা। সম্মতি বা পছন্দ বোঝাতেই এর ব্যাপক ব্যবহার। আর তার পরেই কিন্তু লাইনে রয়েছে কান্নার বোঝানোর ইমোজিটি।
আরও শুনুন: নকল হাতে ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে কেলেঙ্কারি, অতি চালাকের হাতে এখন হাতকড়া
এই মোটামুটি গেল ইমোজি বা ইমোটিকনদের জনপ্রিয়তার হিসাবপত্তর। এখন, খেয়াল করে দেখুন তো, আপনিও কি এই ইমোটিকনগুলিই বেশি ব্যবহার করেছেন? তাহলে বলাই যায় যে, এই জনপ্রিয়তার হিসাবে আপনারও কিছু অবদান আছে বইকি!