করোনার দু-দুটো ঢেউ তো কাটিয়ে ফেলেইছি আমরা। এর মধ্যেই ভারতে ঢুকে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণও। ইতিমধ্যে আমরা অনেকেই নিয়ে ফেলেছি করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় টিকা। তবে ওমিক্রন সেই ভ্যাকসিনকে কতটা ডরাবে, তা নিয়ে নিশ্চিত নয় বিশেষজ্ঞমহল। এরই মধ্যে একদল বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছেন এমন একধরনের ভ্যাকসিন, যা নাকি করোনার ভবিষ্য়তের সব কটি ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রেই দেবে ডবল সুরক্ষা। শুধু তাই নয়, এই ভ্যাকসিনেশনের জন্য প্রয়োজন নেই সূচ ফোটানোরও। বিনা নিডলেই নেওয়া যাবে নয়া এই ভ্যাকসিন। কী বলছেন এ নিয়ে বিশেষজ্ঞেরা। শুনে নিন।
করোনার দুটি স্ট্রেনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আলাপ হয়ে গিয়েছে বিশ্ববাসীর। বলাই বাহুল্য, সেই আলাপ খুব একটা সুখকর হয়নি। এর মধ্যেই আবার হানা দিয়েছে ওমিক্রন। করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে ডেথ রেট ততটা না হলেও, সংক্রমণ ছড়াতে নাকি ওস্তাদ এই স্ট্রেন। বারবার জিনের মিউটেশন বদলে বদলে ক্রমশ আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে ভাইরাসটি। আর সেটা নিয়েই আশঙ্কা চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের।
ওমিক্রনেই কি শেষ, নাকি আগামীর জন্য ওৎ পেতে আছে আরও নতুন কোনও করোনার স্ট্রেন! কবে এই মারণভাইরাসের হাত থেকে নিস্তার মিলবে আমাদের?
না সে প্রশ্নের জবাব দিতে না পারলেও আশার কথা শুনিয়েছেন লন্ডনের একদল বিজ্ঞানী। তাদের দাবি , শুধু ওমিক্রনই নয়, করোনার আসন্ন স্ট্রেনগুলিকেও নাকি অনেকটাই রুখবে এই ভ্যাকসিন! তার সঙ্গে খুশির কথা, এই ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আর শরীরে সূচ ফোটানোর প্রয়োজন পড়বে না।
আরও শুনুন: কতটা ভয়াবহ হতে পারে ওমিক্রন? স্পষ্ট করে জানালেন বিজ্ঞানীরা
ডায়োসিনভ্যাক্স নামে একটি সংস্থার সঙ্গে মিলে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী এমনই একটি ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলেছেন, যা অনেক বেশি করে সুরক্ষা দিতে সক্ষম। ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল শুরু করেছেন তাঁরা।
তবে সূচহীন ভ্যাকসিন কিন্তু এই প্রথম নয়। এর আগে জাইডাস ক্যাডিলার জাইকোভ ডি নামে একটি ডিএনএ ভ্যাকসিনকে মান্যতা দিয়েছিল ভারত-সহ বেশ কিছু দেশ। ফার্মাজেট নামে একটি খুদে যন্ত্রের মাধ্যমে চোখের পলক ফেলার আগে সারা হয়ে যাবে ভ্যাকসিনেশনের কাজ। এমনকি বঙ্গে আপৎকালীন ব্যবহারের জন্যও এই ভ্যাকসিনটিকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল।
জাইডাস ক্যাডিলারের মতোই নতুন এউ ভ্যাকসিনও দেওয়া যাবে সূচ না ফুটিয়েই। জেট-এয়ার পদ্ধতির মাধ্যমেই দেওয়া যাবে এই ভ্যাকসিনের ডোজগুলির। কী সেই পদ্ধতি?
আরও শুনুন: থাবা বসাচ্ছে ওমিক্রন, টিকা নেওয়া থাকলে কি কমবে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি?
জেট এয়ার ইনজেকশন নামে একটি যন্ত্রের সাহায্য প্রচুর চাপ দিয়ে ত্বকের একটা স্তরের ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ওষুধ, আর সেখান থেকেই শরীরের প্রয়োজনীয় জায়গায় সেটি ছড়িয়ে যায়।
ডায়োসিনভ্যাক্সের চিফ এক্সকিউটিভ ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোনাথন হিনে জানান, করোনার নতুন স্ট্রেনগুলি যে ভাবে মাথা চাড়া দিচ্ছে, আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে কমছে আমাদের ইমিউর্নিটি। এই সব ভাইরাস আটকাতে এখন নতুন কোনও প্রযুক্তির প্রয়োজন। ডায়োসিনভ্যাক্সের এই ভ্যাকসিনে তেমনই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ইউনিভার্সাল করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন বানানোর চেষ্টা করছে তাঁর সংস্থা, যা করোনা থেকে তো বাঁচাবেই, করোনার পরবর্তী স্ট্রেনগুলো থেকেও রক্ষা করতে পারবে।
বাকি অংশ শুনে নিন।