ফলের রস বা শরবত বানানোর জন্য কত কসরতই না করতে হয়। রান্নাঘরে যাও, মিক্সার কিংবা জুসার মিক্সার বের করো, ধোও, ফলের রস বানাও। তবে এত সব কিছুর প্রয়োজন নেই। শুধু সাইকেলের প্যাডেল ঘোরালেই তৈরি হয়ে যেতে পারে উপাদেয় ফলের রস। এমনই যন্ত্র বের করে ফেলেছেন গুজরাটের এক ফলবিক্রেতা।
গোটা লকডাউন পর্ব জুড়ে বহু লোকেই নানা ধরনের নতুন ভাবনা বের করেছেন। কেউ নতুন রকমের খাবারদাবার বানিয়েছেন, কেউ বা বাড়ির ফেলা জিনিস দিয়ে দারুণ ঘর সাজানোর জিনিসপত্র বানিয়ে ফেলেছেন।
আরও শুনুন: ২০২২ সাল কেমন যাবে? কী জানিয়েছিলেন এই রহস্যময় ভবিষ্যৎদ্রষ্টা?
অপচয় যত কমানো যায়, ততই ভাল- এই ভাবনাকে গোটা লকডাউন পর্বে কাজে লাগিয়েছেন অনেকেই। যেমন গুজরাতের আমেদাবাদ শহরের এক ফলবিক্রেতা। বাতিল সাইকেল থেকে তিনি বানিয়ে ফেলেছেন এক অভিনব যন্ত্র। যা কাজ করে একেবারে জুসারের মতোই। তবে তার জন্য দরকার নেই ইলেকট্রিকের। তাহলে কী করে চলবে এই যন্ত্র? ঠিক ধরেছেন। প্যাডেল করে। সাইকেলের সামনেই ফিট করে দিয়েছেন জুসার মিক্সার যন্ত্রটি। শুধু সাইকেলের সিটে বসে প্যাডেল করার অপেক্ষা। আর তাতেই তৈরি হয়ে যাবে বিশুদ্ধ ফলের রস।
সম্প্রতি গ্রীনোবার নামে একটি ইনস্টাগ্রামের পেজ থেকে শেয়ার করা হয়েছে এমনই একটি ভিডিও। যা দারুণ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেটিতে ট্যাগ করা হয়েছে মোহিত কেসওয়ানি নামে এক যুবককে। আদতে ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে মোহিতকেই। আমেদাবাদের ওই ফলের রসের দোকানের ওই অভিনব সাইকেলে বসে নিজের পছন্দের তরমুজের রস বানিয়ে নিয়েছেন তিনিই।
আর এখানেই তো আলাদা আমেদাবাদের এই ফলের দোকান। নিজের ফলের রস ক্রেতারা বানিয়ে নিতে পারেন নিজেই। তার জন্য কিছুক্ষণ সাইকেলে প্যাডেল করতে হবে খালি।
আরও শুনুন: বাঙালি খানসামার সঙ্গে মহারানির ‘বিশেষ’ সম্পর্ক, তোলপাড় পড়েছিল বিশ্বে
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, সাইক্লিং কিন্তু দারুণ ভাল ব্যায়াম। ফলে আমেদাবাদের এই দোকানে মিলবে ডবল ধামাকা। শরীরচর্চাও হল, আবার স্বাস্থ্যকর ফলের শরবতও পেলেন হাতে হাতে। ইলেকট্রিক তো বাঁচলই, কোনওরকম অপচয়ও হল না।
ইতিমধ্যেই আমেদাবাদে দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে এই শরবতের দোকানটি। আর মোহিতের ওই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সেটি দেখে ফেলেছেন ১ কোটি ৪ লক্ষ মানুষ। বাতিল জিনিসকে নতুন করে কাজে লাগানোর এমন ভাবনাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন দেশবাসী।