নির্বাচন শুরু হতে বাকী মাত্র কয়েকদিন। প্রথম দফায় ভোট হবে গোটা দেশের ১০০-রও বেশি কেন্দ্রে। আর এই দফাতেই ভোট দেবেন এক পরিবারের ৩৫০ সদস্য। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। কোথায় রয়েছে সেই পরিবার? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ছোট পরিবার সুখী পরিবার। সরকারি বিজ্ঞাপনের এই ট্যাগলাইন অনেকেই মনে প্রাণে আপন করে নিয়েছেন। পরিবার বলতে স্বামী-স্ত্রী এবং সন্তান, এই তিনজন। কোথাও আবার স্রেফ স্বামী-স্ত্রী নিয়েই গোটা পরিবার। যৌথ পরিবার চোখে পড়ে না বললেই চলে। তাই বলে কী ব্যতিক্রম নেই, অবশ্যই রয়েছে। এমন পরিবারও রয়েছে যার সদস্য সংখ্যা হাজারের ঘরে।
আরও শুনুন: ভোটে দাঁড়াতে পারে AI প্রার্থী… কে করলেন এমন ঘোষণা?
গল্পে নয়, বাস্তবেই রয়েছে সেই পরিবার। যার মোট সদস্য সংখ্যা ১২০০। কথা বলছি, অসমের সনিতপুর অঞ্চলের থাপা পরিবার সম্পর্কে। আসন্ন নির্বাচনের আগে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে এই পরিবারকে নিয়ে। কারণ ওই পরিবারের মোট ৩৫০ সদস্যের এবার ভোট দেওয়ার কথা। এমনিতে ছোট কোনও এলাকার মোট ভোটারের সংখ্যাও এত হয় না। সেখানে একই পরিবারের এতজন সদস্য ভোটার, তা বেশ অবাক করে। অসমের সনিতপুরের ফুলগুড়ি নামে এক গ্রাম। তার নেপালি পাড়ায় থাপা পরিবারের বাস। পরিবারের মাথা বলতে রণ বাহাদুর থাপার নাম করেন এলাকার মানুষজন। তাঁরাও কমবেশি ওই পরিবারেরই সদস্য। যদিও রণ বাহাদূর আর বেঁচে নেই। রয়েছেন তাঁর ছেলে-মেয়ে-নাতি-নাতনিরা। আর সবমিলিয়ে সেই সংখ্যাটাই ১২০০। বাহাদুরের ১২ ছেলে আর ৯ মেয়ে। প্রত্যেকেরই বিয়ে হয়েছে। কাজেই সেখানে আরও একজন কর সদস্য বেড়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে তাঁদের সন্তানরা। সেই সংখ্যাটাও প্রায় ১৫০। এঁদেরও অনেকেরই বিয়ে হয়ে পরিবার বড় হয়েছে।। সেখানেও নতুন সদস্য হিসেবে যোগ হয়েছেন অনেকেই। সবমিলিয়ে বাহাদুর পরিবারের সদস্য সংখ্যা পৌঁছেছে এই জায়গায়।
আরও শুনুন: বসের আবার কী দরকার! কর্মীরা প্রত্যেকেই বস, নতুন মডেল চালু কর্পোরেট সংস্থায়
পরিবারের সদস্যদের কথায়, ১৯৬৪ সাল থেকে অসমে রয়েছেন তাঁরা। এতদিন ধরে এখানেই বড় হয়েছে পরিবার। কিন্তু এখনও সকলের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে ভীষণরকম। সকলে থাকেনও একইগ্রামে। বলা ভালো, একটা গোটা গ্রামই থাপা পরিবারের সদস্যে ভরে গিয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে গ্রামের যে সদস্যরা ভোট দেবেন তাঁদেরও প্রায় সকলেই ওই পরিবারের সদস্য। আর সেই সংখ্যাটা ৩৫০। যদিও এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। পরিবারের সদস্যবৃদ্ধি হওয়া একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু তাঁরা যে এতদিন ধরে একসঙ্গে মিলেমিশে রয়েছেন সেটা বিরল। বর্তমানে পরিবার এক হলেও দেখা যায় সদস্যরা বিভিন্ন শহরে কিংবা দেশের বাইরে ছড়িয়ে রয়েছেন। সেখানে থাপা পরিবারের এতজন সদস্য এখনও ওই গ্রামেই থাকেন। তাই আলাদাভাবে চর্চা শুরু হয়েছে তাঁদের নিয়ে।