জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ, AI সব পারে। আসন্ন নির্বাচনের প্রচারেও রমরমিয়ে চলছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার। কিন্তু তাই বলে একেবারে ভোটের লড়াইয়ে নামবে AI প্রার্থী? অদূর ভবিষ্যতে সম্ভব হতে পারে এমনটাও। কে করলেন এই ঘোষণা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ভোট প্রচারে নামছেন গান্ধী-নেহেরু। দেশের প্রায় সব ভাষাতেই কথা বলছেন রাজনৈতিক নেতারা। আসন্ন নির্বাচনে AI-র দৌলতে সবই সম্ভব হচ্ছে। স্রেফ প্রার্থী হিসেবে রোবটকে দাঁড় করানোর কথা কেউ ভাবেননি। সেক্ষেত্রে ভোটের নিয়ম কানুন কী হবে, সেই নিয়েও আলোচনা হয়নি। তবে সত্যিই এমনটা হলে, ক্ষতি কোথায়!
আরও শুনুন: ভোটের আগে প্রচারের ময়দানে আরেক ‘মোদি’! কে এই ব্যক্তি জানেন?
সম্প্রতি ইলন মাস্কের মন্তব্যে সেই ইঙ্গিত মিলেছে। AI-র দুনিয়াকে সমৃদ্ধ করতে মাস্কের অবদান যথেষ্টই। আগামীদিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আরও গবেষণার জন্য নতুন সংস্থাও খুলেছেন মাস্ক। যদিও কিছুদিন আগে AI-র বাড়বাড়ন্ত নিয়ে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি। মাস্কের দাবি ছিল, আগামীদিনে মানবতার বিপদ ডেকে আনতে পারে AI। মানুষের থেকেও বেশি বুদ্ধিমান হয়ে উঠতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট। যার দরুন সমস্যায় পড়তে পারেন অনেকেই। মাস্কের দাবি, মানবতার ১০-১২ শতাংশ প্রভাবিত হতেই পারে AI-র কারণে। যা মোটেও ইতিবাচক হবে না। যদিও ধনকুবের একথাও জানিয়ে দেন, ভালো খারাপ নির্ভর করছে মানুষের হাতেই। যদি এখন থেকে AI-কে ঠিক মতো ব্যবহার করা যায়, তবে তা বেশি বুদ্ধি ধরলেও লাভ হবে মানুষেরই। কম সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে অনেক কাজ করিয়ে নেওয়া যাবে। বলা ভালো, বর্তমান সময়ে এই ব্যবস্থায় অনেকেই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। এসবের প্রসঙ্গ ধরেই নির্বাচন নিয়ে বিশেষ মন্তব্য করেন মাস্ক। যদিও তিনি ভারতের নির্বাচন নিয়ে কথা বলেননি। মার্কিন নির্বাচনের প্রসঙ্গেই এই মন্তব্য করেছেন ধনকুবের।
আরও শুনুন: AI ধ্বংস করবে মানুষের সভ্যতা? ইলন মাস্ক বলছেন, ১০-২০% সম্ভাবনা থাকছেই!
আগামী নির্বাচনে কার হাতে মার্কিন মুলুকের ক্ষমতা থাকবে, সেই প্রশ্নই করা হয়েছিল মাস্ক-কে। উত্তরে সরাসরি AI প্রার্থীর কথা বলেছেন তিনি। তবে আসন্ন নির্বাচন নয়, তাঁর ইঙ্গিত ২০৩২ সালের মার্কিন ইলেকশন। সেখানে কোন ধরনের AI-কে প্রার্থী করলে সুবিধা হবে, ঘুরিয়ে সেই প্রশ্নও করেছেন মাস্ক। আসলে, কৃত্রিম বুদ্ধিওমত্তার বিভিন্ন ধরণ রয়েছে। আপাতভাবে কাজ এক হলেও, বিভিন্ন ধরনের AI পরিচালনার পদ্ধতি আলাদা। মাস্কের সংস্থা সেইসব নিয়েই গবেষণা চালায়। তাই এ সম্পর্কে তাঁর ধারণা রয়েছে যথেষ্টই। একইসঙ্গে নিজের পুরনো মন্তব্যের প্রসঙ্গও টানেন মাস্ক। তাঁর কথায়, ২০২৬ সালের পর AI মানুষের থেকেও বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে। সেক্ষেত্রে তাকে ভোটের প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাতে সমস্যা কোথায়! বাস্তবে এই ধরনের ব্যবস্থা সম্ভব হবে কতটা, সেই নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু মাস্কের মন্তব্যকে অনেকেই তাতপর্যপূর্ণ মনে করেছে। আর সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই হইচই শুরু হয়েছে নেটদুনিয়ায়।