বিপত্তি আর কাকে বলে! ঝুটঝামেলা এড়াতে কাজাখস্তানের এক বডিবিল্ডার বিয়ে করেছিলেন এক যৌনপুতুলকে। কিন্তু মন্দ কপাল হলে আর কী হয়! বেচারা পুতুল-বয় গেল ভেঙে। এবার হানিমুন হবে কী উপায়ে? শেষমেশ দ্বিতীয় যৌনপুতুল জোগাড় করেই নাকি হানিমুন সারছেন ওই বডিবিল্ডার। আসুন, তাঁর কথা একটু জেনে-শুনে নিই।
এক ধাক্কায় খবরের শিরোনামে চলে এসেছিলেন কাজাখস্তানের বডিবিল্ডার ইউরি তোলোছ্কো। কেন? না কোনও মহিলা নয়, তিনি বিয়ে করেছেন এক যৌনপুতুলকে। পুতুল-বউ একজন বডিবিল্ডারের মনের মানুষ – এই তথ্যটাই চমকে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। মানুষের যৌনতাতে তো প্রযুক্তির প্রভাব পড়ছেই, তবে কি এবার অনুভূতির জায়গাগুলোও চলে যাবে প্রযুক্তির দখলে? সে নিয়ে আলোচনাও হয়েছিল বেশ।
আরও শুনুন: কার্টুন দেখে পুলিশকে ফোন করতে শেখা, মায়ের প্রাণ বাঁচাল ৩ বছরের খুদে
তারপর বছর ঘুরেছে। হঠাৎ দেখা গেল, বডিবিল্ডার ঘুরছেন অন্য এক পুতুল-বউ নিয়ে। তাও নাকি আবার হানিমুনে! ব্যাপার কী! ইউরি নতুন বউয়ের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে ছবি দিতেই কৌতূহল বাড়তে থাকে। প্রশ্ন ছুটে যায় যে, এক বউকে বিয়ে করে অন্য বউকে নিয়ে হানিমুনে আসা কেন? জবাবে বডিবিল্ডার যা জানালেন, তা বেশ চমকপ্রদ। তিনি বলছেন, প্রথম যে সেক্স-ডলটিকে তিনি বিয়ে করেছিলেন, সেটি নাকি ভেঙে গিয়েছে। সেই পুতুল-বউয়ের নাম ছিল মার্গট। বিয়ের কিছুদিন পরই তার ইহলীলা সাঙ্গ হয়। এদিকে সে সময় আবার চলছিল প্যান্ডেমিক। ফলে হানিমুনের দফারফা। এখন খানিকটা হলেও বিশ্ব সুস্থ হয়ে উঠেছে। আর কাজের খাতিরে ইউরিকেও যেতে হবে বুলগেরিয়ায়। ইউরি ভাবলেন, এক ঢিলে দুই পাখি মারাই যায়। কাজও হবে, সেই ফাঁকে হানিমুনটাও সেরে ফেলা যাবে।
আরও শুনুন: বাসে করেই পাড়ি কলকাতা থেকে লন্ডনে… সত্যিই কি ঘটেছিল এমন ঘটনা?
কিন্তু তার সাধের বউই যে নেই। সে তো গিয়েছে ভেঙে। এখন উপায়? ভাগ্যিস পুতুল-বউতেই ভরসা রেখেছিলেন বডিবিল্ডার। তড়িঘড়ি তিনি জোগাড় করে ফেলেন দ্বিতীয় পুতুল বউ লুনাকে। তাকে নিয়েই বিন্দাস হানিমুন কাটাচ্ছেন ইউরি। রেস্তরাঁয় গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করছেন। সে ছবিও দিয়েছেন সোশাল মিডিয়ায়। ইউরি বলছেন, আগের বউকে নিয়ে হানিমুনে যাওয়ার সুযোগই তো হয়নি। তাই এবার খানিক অবসর পেয়ে আর সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি। কাজের মধ্যেই বেশ ভালো সময় কাটছে দম্পতির। আর এই দম্পতিকে দেখে বিশ্ববাসী ভাবছে, এ পৃথিবীতে আশ্চর্যের শেষ নেই! দিনের গর্ভে আরও কত যে বিস্ময় তোলা আছে কে জানে!