রাতারাতি বদলে গিয়েছে সবকিছু। প্রায় দু-দশকের স্বপ্ন, আত্মবিশ্বাস তছনছ করে আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবান। আর তারপর থেকেই আতঙ্কে কাঁটা হয়ে আছে সেখানকার মহিলারা। আবার কি ফিরছে যৌনদাসী হওয়ার নিয়তি? উৎকণ্ঠার প্রহর গুণছে গোটা আফগানিস্তান।
তালিবানি নৃশংসতার শিকার বরাবরই মহিলারা। অতীতে যখন তালিবানের দখলে ছিল আফগানিস্তান, তখন এর সাক্ষী থেকেছে গোটা পৃথিবী। উগ্রপন্থা আর গোঁড়ামির সঙ্গে মিশেছে ধর্মীয় বিশ্বাস। তার আঘাত নেমে এসেছিল মহিলাদের উপর। জোর করে বিয়ের নামে মহিলাদের যৌনদাসী করে রাখা হত। এ ছাড়া প্রতিদিনের জীবন যাপনে হাজারও বাধানিষেধের প্রাচীর খাড়া করে রেখেছিল তালিবানরা। নিয়মের একটু এদিক ওদিক হলেই নেমে আসত শাস্তি।
আরও শুনুন – Sex Slave: যৌনদাসীর দিনরাত, ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানিয়েছিলেন Nadia Murad
তালিবানি শাসন মুক্ত হওয়ার পর ক্রমে ক্রমে আশার আলো দেখছিল গোটা আফগানিস্তান। একটা মুক্ত পরিবেশে বাঁচার স্বপ্ন দেখছিলেন সবাই। তলে তলে লড়াইটা অবশ্য রয়েই গিয়েছিল। তবু বৃথা আশা যেন মরতে মরতে মরে না। একটা অন্ধকার থেকে ক্রমশ আলোর দিকে হাঁটতে চাইছিল আফগানিস্তান।
আচমকাই পট পরিবর্তন। মার্কিন সেনার ছত্রছায়া সরে যাওয়ার পরেই আফগান দখল তালিবানদের কাছে সহজ হয়ে যায়। মাত্র কয়েকদিনের সংঘর্ষ। তারপরই আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় আফগান প্রশাসন। প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি পলাতক। পুরো আফগানিস্তান এখন তালিবানের দখলে। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন আফগান মহিলারা। ফিরে আসছে অতীতের স্মৃতি। আবার কি ফিরতে চলেছে সেই অন্ধকার যুগ? আশঙ্কা সব মহলেই। ১৯৯৬-২০০১ এই শাসনকালে মহিলাদের একরকম বন্দি করেই রেখেছিল তালিবানরা। শিক্ষা তো দূরের কথা, প্রায় কোনও অধিকারই ছিল না তাঁদের। পুরুষ অভিভাবক ছাড়া মেয়েদের একা থাকার নিয়ম অব্দি ছিল না।
আরও শুনুন – হিন্দু হয়েও ৪০০-র বেশি মসজিদ বানিয়েছেন দেশের এই Mosque Man
সেই সঙ্গে তালিবান যোদ্ধাদের শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য আকছার বিয়ের নামে যৌনদাসী হিসেবে নিয়োগ করা হত মেয়েদের। এটা ছিল একরকমের কৌশল। যুবকরা যাতে তালিবানি যোদ্ধা হয়, সেই কারণেই তাদের দেওয়া হত যৌনতার অফার। নামেই ছিল বিয়ে। আসলে দিনের পর দিন মুখ বুজে গণধর্ষণের শিকার হতেন মহিলারা। অত্যাচারের সেই বর্ণনা পরবর্তীতে জেনে শিউরে উঠেছে পৃথিবী। যা যা মানবতা বিরোধী বলে চিহ্নিত, তারই যেন স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছিল তালিবানি শাসনের আফগানিস্তান।
বাকি অংশ শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।