অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা হবে রাম সীতার মূর্তি। আর তার জন্য শিলা আসবে নেপাল থেকে, রামায়ণ মতে যা কিনা সীতার বাপের বাড়ি। এও যেন পুরাণের আরেকরকম পুনর্নির্মাণ। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
রাম মন্দির নির্মাণকে কেন্দ্র করে অযোধ্যায় সাজো সাজো রব। সেই আয়োজনে এবার জুড়ল নয়া মাত্রা। জানা গিয়েছে, মন্দিরের গর্ভগৃহে যে রাম সীতার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে, তার জন্য বিশেষ শিলার জোগান দিচ্ছে নেপাল। রামায়ণ জানায়, সীতাকে কৃষিক্ষেত্রে পেয়েছিলেন মিথিলার রাজা জনক। তারপর রাজপরিবারেই জনকের কন্যা হিসেবে তাঁর বেড়ে ওঠা। ভৌগোলিক হিসেব অনুযায়ী বর্তমানে মিথিলার কিছু অংশ ভারতে এবং কিছু অংশ নেপালে রয়েছে। আর সেই নেপাল থেকেই এবার পাথর এসে পৌঁছচ্ছে অযোধ্যায়, যা কিনা আবার পুরাণ মতে রামের জন্মস্থান এবং সীতার শ্বশুরালয়। সীতা যেমন মিথিলা থেকে অযোধ্যায় এসেছিলেন, নেপাল থেকে অযোধ্যায় শিলা আনার প্রসঙ্গে সেই অনুষঙ্গই টেনেছেন কেউ কেউ।
আরও শুনুন: রামের আদলে যোগী আদিত্যনাথের মূর্তি, উত্তরপ্রদেশের এই মন্দিরে পূজা পান খোদ মুখ্যমন্ত্রীই
মিথিলার পশ্চিম সীমানায় রয়েছে গণ্ডকী নদী। আর সেই নদীর গর্ভেই পাওয়া যায় এই বিশেষ শিলা। সাধারণভাবে আমরা যাকে শালগ্রাম শিলা বলে থাকি। পূজার্চনার ক্ষেত্রে বিষ্ণুর প্রতীক হিসেবে এই শিলা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেই বিশেষ শিলা দিয়েই রামলালার মূর্তি গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অযোধ্যার রামমন্দির ট্রাস্ট। নেপালের মুক্তিনাথ অঞ্চল থেকে দুটি বড় শিলা আনার জন্য ইতিমধ্যেই নেপালে পৌঁছে গিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় সভাপতি রাজেন্দ্র সিং পঙ্কজ। শিলা দুটির দৈর্ঘ্য ৫-৬ ফুট এবং প্রস্থ ৪ ফুটের কাছাকাছি। একটি শিলার ওজন ১৮ টন, অন্যটির ১২ টন। অযোধ্যায় নিয়ে আসার আগে ‘শিলা পূজা’-র অনুষ্ঠানও করা হয়েছে নেপালেই। রামজন্মভূমি অযোধ্যার রাম মন্দির ট্রাস্টের কর্ণধার প্রকাশ গুপ্তা জানিয়েছেন, দ্রুত ওই শিলা নিয়ে অযোধ্যায় ফিরে আসার কথা রয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় সভাপতির। আর তারপরেই ওই পবিত্র শিলা খোদাই করে মূর্তি নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আগামী বছরের মকর সংক্রান্তিতে রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা হবে রামলালার মূর্তি, এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাম মন্দির ট্রাস্ট।