বন্ধুরা বাজি ধরেছিল, কে কত বেশি আয়রন ট্যাবলেট খেতে পারে। আর সেই বাজি জিততে গিয়েই প্রাণ গেল এক কিশোরীর। জানা গিয়েছে, প্রায় ৪৫টি আয়রন ট্যাবলেট খেয়ে ফেলেছিল সে। কোথায় ঘটেছে এই ঘটনা? আসুন শুনে নিই।
‘ডেয়ার গেম’ খেলতে গিয়ে প্রাণ গেল বছর ১৩-র স্কুল ছাত্রীর। ডেয়ার ছিল, কে কত বেশি আয়রন ট্যাবলেট খেতে পারে। আর সেই খেলা জিততে গিয়েই ৪৫টি ট্যাবলেট খেয়ে ফেলে ওই কিশোরী। ওষুধের প্রতিক্রিয়ার জেরেই মৃত্যু হয় ছাত্রীর।
আরও শুনুন: স্কার্ট আর হিলেই স্বচ্ছন্দ, ‘পুরুষের পোশাক’-এর ছক ভাঙলেন ৬৩ বছরের ব্যক্তি
ঘটনাটি তামিলনাড়ুর উটি শহরের। সেখানকার পৌর উর্দু বিদ্যালয়ে এমন মর্মান্তিক কাণ্ড ঘটেছে। ঘটনার দিন দুপুরে স্কুলের কয়েকজন পড়ুয়া তাদের প্রধান শিক্ষকের ঘুরে ঢুকে পড়ে। সেখানেই বাক্সভর্তি আয়রন ট্যাবলেট আবিষ্কার করে তারা। এরপরই অদ্ভুত খেয়াল চাপে তাদের মাথায়। সবাই মিলে ঠিক করে এই আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া নিয়ে একটা ‘ডেয়ার গেম’ খেলা হোক। খেলার নিয়ম ছিল, যে যত বেশি ট্যাবলেট খাবে, সে জিতবে। দলে ছিল ৪ জন মেয়ে ও ২ জন ছেলে। ঝোঁকের বশে প্রত্যেকেই বেশ কয়েকটা আয়রন ট্যাবলেট খেয়ে নেয়। তবে সবথেকে বেশি ট্যাবলেট খেয়ে ফেলে ফতিমা নামে এক কিশোরী। জানা গিয়েছে, ১৫টা করে ট্যাবলেট আছে এমন তিনটি স্ট্রিপ খেয়ে ফেলে সে। এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। অসুস্থ হয়ে পড়ে আরও বেশ কয়েকজন।
আরও শুনুন: পাত্র নয়, হরেক সংস্থার বেতনের খোঁজেই ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে! অভিনব কীর্তি তরুণীর
সকলেই নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর কয়েকজনকে ছেড়েও দেওয়া হয়। কিন্তু ফতিমার অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। চেন্নাইয়ের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি করার সুযোগ দেয়নি সে। যাওয়ার পথেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে ফতিমা। ঘটনায় রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েছে তার পরিবার। এমনকী ফতিমার মা নিজেও ওই স্কুলেরই শিক্ষিকা। তাই মেয়েকে বাঁচাতে না পারাটুকু কিছুতেই মানতে পারছেন না তিনি। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ক্লাস এইট থেকে টেনের ছাত্রীদের সপ্তাহে একবার করে আয়রন ট্যাবলেট দেওয়ার জন্য ওতগুলো ওষুধ আনা হয়েছিল। সেখান থেকেই ট্যাবলেট খেয়েছিল ফতিমা ও তার সঙ্গীরা। তবে এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ বেশ কয়েকজনের কাছে কৈফিয়ত তলব করেছে।