যৌনতার বিনিময়ে মিলবে স্থায়ী চাকরি। এমনই প্রস্তাব প্রধান শিক্ষকের। আর এই প্রস্তাব পেয়েছেন এক অতিথি শিক্ষকা। সম্প্রতি ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোর শোরগোল সরকারি স্কুলে। কোথায় ঘটেছে এমন কাণ্ড? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
যতই যোগ্যতা থাক। এমনি এমনি হবে না। দিতে হবে মোটা টাকা ঘুষ, কিংবা অন্য কিছু। তালিকায় যৌনতাও থাকতেই পারে। চাকরি, পড়াশোনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এমনটা ‘প্রচলিত’ নিয়ম। কে সেই নিয়ম তৈরি করেছেন তা জানা নেই। জানার চেষ্টা করাও বৃথা। শুধু মেনে চলতে হবে। অন্যথায় পিছিয়ে পড়তে হবে।
ক্ষমতার আস্ফালন নতুন কিছু নয়। দেশের আইন যাই বলুক, ক্ষমতা থাকলে নিজের নিয়ম নিজেই তৈরি করতে পছন্দ করেন অনেকে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এমন ক্ষমতাবান মানুষ আখচার দেখা যায়। মাত্রা ছাড়ালে দুর্নীতি অবশ্যই সামনে আসে। প্রতিবাদ, বিক্ষোভের চাপে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়। সমাজ বয়কট করে। তা দেখেও শুধরে নেওয়ার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করেন না অনেকে। নিজেদের নিয়মে চলতে থাকেন। বলা ভালো, অপেক্ষা করতে থাকেন পাপের ঘড়া কখন পূর্ণ হবে। সম্প্রতি যেমনটা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। জব্বলপুরের বারগি নগর অঞ্চলের এক স্কুল। সেখানে অতিথি হিসেবে চাকরি করতে এসেছিলেন এক শিক্ষিকা। সাধারণত এই চাকরি স্থায়ী হয় না। কিন্তু এই শিক্ষিকার চাকরি পাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। বদলে চেয়েছিলেন যৌনতা। শিক্ষিকা যৌনতায় রাজি হলে বদলে তাঁর চাকরি স্থায়ী করে দেওয়া হবে। এমনটাই ছিল শর্ত। স্বাভাবিক ভাবেই প্রস্তাবে রাজি হননি অতিথি শিক্ষিকা। বরং বিষয়টি নিয়ে সরব হন। তখনই সামনে আসে বিস্ফোরক তথ্য। জানা যায়, এই প্রথম নয়। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আগেও এমনটা করেছেন। এই অভিযোগে সরব হন স্কুলের ছাত্রীরা। অভিযোগ, প্রায়শই তাদের নিজের ঘরে ডাকতেন ওই প্রধান শিক্ষক। কখনও একেবারে একা। নানাভাবে ছাত্রীদের হেনস্থা করতেন তিনি।
এমন অভিযোগ সামনে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অতিথি শিক্ষিকা সহ স্কুলের ছাত্রীরা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। শুধু তাই নয়, স্কুলের বাইরেও এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তাতে যোগ দেয় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, এবং কংগ্রেসের সদস্যরা। ঘটনার বিচার হোক এই দাবিতেই আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশকর্তারা। অন্যথায় আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়বে বলেই জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। প্রয়োজনে এসডি অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখাবেন তাঁরা। এমনটাও সাফ জানিয়েছেন সকলে।