নিম্নবর্গের পড়ুয়াদের দিয়ে নিয়মিত শৌচাগার পরিষ্কার করানো হত তামিলনাড়ুর একটি সরকারি স্কুলে। এই মর্মেই সম্প্রতি দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ। যা শুনে হতবাক সকলে। কী ঘটেছে ঠিক? শুনে নিন।
সমাজের চোখে তারা নিম্নবর্গের অন্তর্ভুক্ত। আর সেই কারণেই স্কুলের শৌচাগার নিয়মিত পরিষ্কার করার দায়িত্ব বর্তেছিল তাদের উপরেই। হ্যাঁ, তামিলনাড়ুর এক সরকারি স্কুলে এমনটাই ঘটেছে বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় আরও একবার প্রকট হয়ে উঠল সমাজে জিইয়ে রাখা জাতপাতের বৈষম্য। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে অবশেষে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা।
কী ঘটেছে ঠিক?
আরও শুনুন: বিয়ের আসরে উচ্চবর্ণের ঝামেলার ভয়, দাঁড়িয়ে থেকে দলিত কন্যার বিয়ে দিলেন ৬০ পুলিশকর্মী
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তামিলনাড়ুর এরোদ জেলার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের মা। জয়ন্তী নামের ওই মহিলার অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা গীতা রানির নির্দেশেই নিয়মিত স্কুলের শৌচাগার পরিষ্কার করতে হত পড়ুয়াদের। উপরন্তু, ওই শিক্ষিকার সাফ নির্দেশ ছিল, কেবল নিম্নবর্গের পড়ুয়ারাই এ কাজ করবে। যদিও এ ঘটনার কথা এতদিন প্রকাশ্যে আসেনি। অভিযোগকারিণীর দাবি, কিছুদিন আগে তাঁর ছেলে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়। সেই সময় তাকে প্রশ্ন করে জানা যায়, শৌচাগার পরিষ্কার করার সময় তাকে মশার উপদ্রব সহ্য করতে হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির ওই পড়ুয়া আরও জানায় যে, রোজই তাকে স্কুলের শৌচাগার পরিষ্কার করার কাজটি করতে হয়। এরপর বিষয়টি আরও এক অভিভাবকের নজরে পড়ে। তিনিও দেখেন যে কয়েকজন পড়ুয়া ঝাঁটা বালতি হাতে শৌচাগার থেকে বেরিয়ে আসছে। তাদের এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলেও একই উত্তর মেলে। অভিযোগকারিণী দাবি করেছেন, ওই ক্লাসে মোট ৪০ জন পড়ুয়া রয়েছে। কিন্তু কেবল নিম্নবর্গের অন্তর্ভুক্ত পড়ুয়াদের বেছে বেছে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও শুনুন: ‘আপনার মাফলার গেল কোথায়?’ মহিলার প্রশ্ন শুনে কেজরিওয়াল বললেন…
শিশুকল্যাণ আইন এবং অনগ্রসর শ্রেণির প্রতি নৃশংসতা রোধ আইনে ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করেছে পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা পলাতক বলে জানা গিয়েছে। বিশেষ দল গড়ে ওই শিক্ষিকার সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। এহেন ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না, অভিযোগকারীদের এমনটাই আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।