টম্যাটো নিয়ে ডাকাতি। হ্যাঁ, শুনতে আশ্চর্য লাগলেও সত্যি। বিক্রি করেছিলেন ৭০ ক্রেট টম্যাটো। কিন্তু তার জেরে যে নিজের প্রাণটাই খোয়াতে হবে, সে কথা ভাবতেও পারেননি এই কৃষক। কিন্তু বাস্তবে ঘটল তেমনটাই। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
টম্যাটো কিনতে গেলেই ছ্যাঁকা লাগছে মধ্যবিত্তের। বাড়তে বাড়তে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেছে বাজারে টম্যাটোর দাম। দেড়শো-দুশো টাকার নিচে মিলছেই না টম্যাটো। কিন্তু এর জেরে যে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটবে, তা বোধহয় ভাবতেও পারেননি কেউ। শুধুমাত্র টম্যাটো বিক্রি করার অপরাধেই প্রাণ হারাতে হল এক কৃষককে। অপরাধই বটে। আসলে টম্যাটোর বিপুল দাম বাড়ার দরুন বেশ কিছু টাকা লাভ হয়েছিল তাঁর। আর সেই লাভই হল কাল। ডাকাতের হাতে পড়ে খুন হয়ে গেলেন অন্ধ্রপ্রদেশের ওই কৃষক।
আরও শুনুন: পাক তরুণীকে না ফেরালে ধর্ষণ হিন্দু মেয়েদের, গেম-প্রেমের ঘটনায় হুমকি বালোচ থেকে
জানা গিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম নরেম রাজাশেখর রেড্ডি। বছর বাষট্টির ওই ব্যক্তি পেশায় ছিলেন কৃষিজীবী। বলাই বাহুল্য, হঠাৎ করে সবজির দাম অনেকটা বেড়ে যাওয়া তাঁদের কাছে সুখবরই। কথায় বলে না, কারও সর্বনাশ আর কারও পৌষমাস। বাজারে আগুন লাগায় মধ্যবিত্তের কপালে যেমন চিন্তার ভাঁজ বেড়েছে, তেমনই উলটো দিকে একটু বাড়তি লাভের আশায় বুক বেঁধেছেন বিক্রেতারা। দু-তিন মাস আগে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ইত্যাদি রাজ্যে কৃষকরা দাম না পেয়ে রাস্তায় টম্যাটো ফেলে দিচ্ছিলেন। কিন্তু এখন টম্যাটো চাষিরাই কার্যত হাতে স্বর্গ পেয়েছেন। তেমনটাই ঘটেছিল এই ব্যক্তির ক্ষেত্রেও। খুব বেশি নয়, ৭০ ক্রেট টম্যাটো বিক্রি করতে পেরেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেই নাকি তাঁর লাভ হয়েছিল গুনে গুনে ৩০ লক্ষ টাকা। কিন্তু সেই বাড়তি লাভের জেরেই প্রাণ হারাতে হল তাঁকে।
ঘটনার দিন রাতে বেরিয়েছিলেন তিনি। অনেকক্ষণ পরেও ফিরছেন না দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। ফোনেও যোগাযোগ করা যায়নি। এরপরে তাঁকে খুঁজতে বেরোন আত্মীয়রা। রাস্তায় ওই ব্যক্তির ফোন আর বাইক পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর তারপরেই ওই ব্যক্তিকেও খুঁজে পান সকলে। যদিও তখন আর তাঁর দেহে প্রাণ ছিল না, হাত এবং সারা শরীর বাঁধা ছিল আষ্টেপৃষ্ঠে। পুলিশের অনুমান, টম্যাটো বিক্রির দরুন ওই ব্যক্তি যে বিপুল লাভ করেছেন তা আন্দাজ করেছিল ডাকাতরা। আর সেই টাকা লুট করার জন্যই খুন করা হয়েছে ওই কৃষককে। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন।